একটি প্রাচীন ক্যালেন্ডার এবং পৃথিবীর পুরনো ম্যাপ তুরস্ক থেকে উদ্ধার হলো প্রত্নতাত্বিক বিভাগের খনন কার্যে । প্রত্নতাত্ত্বিক বিভাগ একটি মন্দির খনন করছিলো এবং সেখানেই কিছুক্ষন পর এই ম্যাপ উদ্ধার করেছে বলে জানা গিয়েছে। এই চিত্রের সন্ধান পাওয়া গেছে পাথরের গায়ে।
একটি ‘আন্ডারওয়ার্ল্ড’-এর উল্লেখ করা হয়েছে এই ম্যাপে , বলা হচ্ছে পৃথিবীর নীচে অবস্থান করছে এই ‘আন্ডারওয়ার্ল্ড’ । ১৮৩৪ সালে এই মন্দিরটি আবিষ্কার করেন ফরাসী প্রত্নতাত্ত্বিক ও ইতিহাসবিদ চার্লস টেক্সিয়ার।
চুনাপাথরের উপর খোদাই করা খুঁজে পাওয়া চিত্রগুলির মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন প্রাণী, শয়তান এবং ভগবানের ছবি। মন্দির আবিষ্কারের ২০০ বছর পরে বিজ্ঞানীরা এই চিত্রের রহস্য ব্যাখ্যা করতে পারলেন । গবেষকদের দাবি, আঁকা হয়েছে এই ছবিতে পৃথিবী, আকাশ এবং ‘আন্ডারওয়ার্ল্ড’-এর ছবি। পাশাপাশি আঁকা হয়েছে একটি দেওয়ালে সূর্যদেব এবং ঝড়ের দেবীর ছবিও ।
অন্য ছবিগুলির একটু উপরে, দেওয়ালে দেবতার ছবি রয়েছে । অন্যদিকে কম দেবতার ছবি আঁকা হয়েছে পূর্ব ও পশ্চিম দেওয়ালে। এছাড়া জন্ম-মৃত্যুও দেখানো হয়েছে চাঁদের বিভিন্ন অবস্থার ছবি এঁকে।
কখনও ছবি আঁকা হয়েছে খণ্ড চাঁদ, আবার কখনও পূর্ণ চাঁদের । মনে করা হচ্ছে সে সময় এই স্থলের জনজাতি ১৭ জন দেব-দেবীকে মেনে চলত। একটি দেওয়ালে এমন একটি ছবি আঁকা রয়েছে, যা তথ্য দেয় আন্ডারওয়ার্ল্ড সম্পর্কে।
এক গবেষক জানিয়েছেন, খুব সম্ভবত পুরো মহাবিশ্বের ধারণা করেই এই ছবি আঁকা হয়েছিল তখনকার দিনে । পৃথিবী, আকাশ, পাতাল এসব তো দেখানো হয়েইছে। পাশাপাশি সময়ের পার্থক্যও দেখানো হয়েছে দিন, রাত, শীত, গ্রীষ্ম এমন নানারকম।