Dainik Sangbad – দৈনিক সংবাদ
Image default
FEATURED ট্রেন্ডিং স্বাস্থ্য

ওমিক্রনে আক্রান্ত কিনা? বুঝতে খেয়াল রাখুন ত্বকের দিকে! এই সমস্ত উপসর্গ দেখা মাত্রই সাবধান হোন

করোনার নতুন প্রজাতি ওমিক্রন রীতিমত ত্রাস ছড়াচ্ছে। সারা বিশ্বের পাশপাশি এই দেশেও লাফিয়ে বাড়ছে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা। প্রায় পাঁচ হাজার ছুঁই ছুঁই ওমিক্রন আক্রান্তের খোঁজ মিলেছে এখন এই দেশে। তবে ওমিক্রন আক্রান্তের শরীরে উপসর্গ অন্যান্য প্রজাতির থেকে তুলনামূলক কম হওয়ায় এবারে এখন অব্দি হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে এমন রোগীর সংখ্যা কম। বেশিরভাগ বাড়িতে থেকে সেরে উঠছে। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলছেন ওমিক্রনে আক্রান্ত হলে সঠিক চিকিৎসা দরকার। যোগাযোগ করতে হবে চিকিৎসকের সাথে। এটিকে একেবারে হালকা ভাবে নেওয়া ঠিক না।

আমেরিকার ‘সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল এন্ড প্রিভেনশন অ্যানালাইসিস’এর রিপোর্ট বলেছে ওমিক্রন এর কিছু সাধারণ উপসর্গ হচ্ছে কাশি, অত্যধিক ক্লান্তি, নাক বন্ধ এবং নাক দিয়ে জল পড়া। কিন্তু ঋতু পরিবর্তনজনিত ঠান্ডা লাগলেও মানুষের মধ্যে একই রকম উপসর্গ দেখা যাচ্ছে। এই কারণে করোনা আক্রান্ত, ওমিক্রন আক্রান্ত নাকি মরশুমি জ্বরে ভুগছেন তা বোঝা বেশ কঠিন। তাহলে উপায়, বিশেষজ্ঞরা বলছেন ওমিক্রনে (Omicron) আক্রান্ত কি না তা বুঝতে ত্বকের দিকে খেয়াল রাখুন। ত্বকের কয়েকটি উপসর্গ দেখলে আন্দাজ করবেন আপনার শরীরে বাসা বেঁধেছে ওমিক্রনের মতো ভাইরাস।

গবেষণা বলছে, ত্বকে আমবাতের মতো Rash দেখা যায় ওমিক্রন আক্রান্ত হলে। লাল লাল চাকা চাকা Rash পিঠে কিংবা ত্বকের কোনও অংশে দেখলে সতর্ক হন। এমন Rash দেখা দিতে পারে জ্বরের সময় কিংবা জ্বর সেরে গেলে। দেখা গিয়েছে, আমবাতের মতো Rash হচ্ছে রোগীদের ওমিক্রন শরীরে বাসা বাঁধলে।

যদি ত্বকে চুলকানি অনুভব করেন জ্বরের পর, তাহলে ফেলে রাখবেন না। চুলকানি ওমিক্রনের (Omicron) একটি লক্ষণ হল। সতর্ক হন, হাতে, পায়ে, মুখে এমনকি শরীরের কোনও অংশ চুলকানি হলে। এর সঙ্গে ডাক্তারি পরামর্শ নেওয়ার প্রয়োজন বমি বমি ভাব, মাথা ব্যথা, গলা ব্যথা হলে। চিকিৎসা যত তাড়াতাড়ি করাবেন, মুক্তি তত তাড়াতাড়ি মিলবে।

ত্বকে ফুসকুড়ি দেখা যাচ্ছে করোনা ও ওমিক্রন উভয় রোগের ক্ষেত্রেই। করোনা কিংবা ওমিক্রন আক্রান্ত রোগীদের ঘাড়ের পিছনে ফুসকুড়ি, পায়ের আঙুলে ফুসকুড়ি হতে পারে। যে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি ব্যবহার করা হচ্ছে শরীরে করোনা ভাইরাস বাসা বেঁধেছে কি না তা নির্ধারণ তা হল আরটি-পিসিআর (RTPCR)। আরটি পিসিআর করা হয় নাক থেকে কিংবা গলা থেকে লালা সংগ্রহ করার পর সেই নমুনাটির। আর এস-জিন-ড্রপ পরীক্ষা কেউ ওমিক্রন আক্রান্ত কি না তা জানার জন্য করতে হবে। সব জায়গায় এই পরীক্ষা হয় না। ফলে কোনও রোগী ওমিক্রন আক্রান্ত কিনা তা বোঝা কঠিন। তাই তৎক্ষণাত ডাক্তারি পরামর্শ নিন ত্বকে কোনও রকম সংক্রমণ দেখা দিলেই ।

Related posts

‘ভেবেছিলাম আমি স্বপ্নে মাংস কাটছি’, ঘুমের মধ্যে স্বপ্ন দেখে অণ্ডকোষ কেটে ফেললেন ব্যাক্তি!

News Desk

ওমিক্রনে আক্রান্ত হয়ে অস্বাভাবিক বেড়ে গিয়েছে খিদে, প্রতি মুহূর্তে চাই খাবার! দাবী মহিলার

News Desk

অজান্তেই আপনার রক্তে মিশছে ‘প্লাস্টিকের গুঁড়ো’! কীভাবে খোঁজ পেয়ে উদ্বিগ্ন বিজ্ঞানীরা

News Desk