রাজস্থানের সিরোহির রেভদারে সভ্য সমাজকে লজ্জায় ফেলে দিতে পারে এমন এক ঘটনা সামনে এসেছে। এখানে দুই দিন বয়সী নবজাতককে হাতল গ্রামের নদীতে ফেলে দেয় তারই নিজের বাবা মা। জলে ডুবে নবজাতকের মৃত্যু হয়েছে। শিশুটির হাতে তখনও হাসপাতাল থেকে লাগিয়ে দেওয়া একটি ক্লিপ ছিল। এ থেকে স্পষ্ট যে হাসপাতালে জন্মের পরে পরেই তাকে হত্যা করেছে তার বাবা-মা। এই মর্মান্তিক ঘটনার পর চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে আশপাশের এলাকায়। শিশুটির অভিভাবকদের কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছেন এলাকার মানুষ। পুলিশ শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করে সরকারি হাসপাতালের মর্গে রেখেছে। পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করে দেখছে।
শুক্রবার সকালে নদীর তীরে এক নবজাতকের মৃতদেহ দেখতে পেলে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে হাতল গ্রামের আনাদারা থানা এলাকায়। এ দৃশ্য দেখে মানুষ হতচকিত হয়ে যায়। কে করল এমন কাজ? কিছুক্ষণের মধ্যেই ভিড় জমে গেল। লোকজন সঙ্গে সঙ্গে আনাদ্রা থানায় খবর দেয়। খবর পাওয়া মাত্রই স্টেশন ইনচার্জ গীতা সিং দল নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিদর্শন করেন। নদীর চারপাশের এলাকা স্ক্যান করার পর পুলিশ একটি অ্যাম্বুলেন্স ডেকে নবজাতকের মৃতদেহ গ্রামের সরকারি হাসপাতালে পাঠায়। থানার ইনচার্জ গীতা সিং জানান, শিশুটির মরদেহ মর্গে রাখা হয়েছে। এখন বিষয়টি সম্পূর্ণ তদন্ত করা হবে।
পুলিশের জন্যও চ্যালেঞ্জিং:
বলা হচ্ছে, বিষয়টি পুলিশের জন্যও একটি চ্যালেঞ্জ বটে। কারণ, কোন হাসপাতালে নবজাতকের জন্ম হয়েছে তা খুজেঁ বের করা কঠিন। সরকারি হাসপাতাল থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, ইতি মধ্যে সেখানে কোনো নবজাতকের জন্ম হয়নি। তাই পুলিশের নজর এখন বেসরকারি হাসপাতালের দিকে। একটি বেসরকারি হাসপাতালের ম্যানেজমেন্ট প্রভাব খাটিয়ে বিষয়টি চাপা দেওয়ার চেষ্টা করেছে বলে জানা গেছে। তাই এ বিষয়ে পুলিশ আপাতত কিছু বলার মতো অবস্থায় নেই।