ভারত করোনার (Corona Pandemic) দ্বিতীয় ঢেউয়ে বিধ্বস্ত । একদিকে হু হু করে বাড়ছে সংক্রমণ, পর্যাপ্ত জোগানও নেই অক্সিজেন, বেড কিংবা ওষুধের । প্রতিদিন মৃত্যুমিছিল জারি । অন্যদিকে, আবার দিল্লিতে (Delhi) পুরোদমে চলছে সেন্ট্রাল ভিস্তা (Central Vista) প্রকল্পের কাজ এই পরিস্থিতিতেই । যা নিয়ে ইতিমধ্যে বিরোধী থেকে শুরু করে সমাজকর্মী এবং একাধিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সরব হয়েছেন ।
তবে তা সত্ত্বেও কয়েক হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্পের কাজ থেমে নেই । আর এবার জারি হল নয়া নিষেধাজ্ঞা এই কাজের ছবি তোলা কিংবা ভিডিও তুলতেও । এমনকী বিনা অনুমতিতে কেউ প্রবেশও করতে পারবেন না ওই এলাকায় বলে খবর। যা নতুন করে বিতর্ক শুরু হয়েছে প্রকাশ্যে আসতেই ।
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, সম্প্রতি মোদি সরকারকে সেন্ট্রাল ভিস্তা প্রকল্প নিয়ে বিরোধীদের তীব্র সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে। এই প্রকল্পের যৌক্তিকতা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু হয়েছে দেশের কঠিন পরিস্থিতিতে । কাজ চলছে তা সত্ত্বেও। আর তার মধ্যেই এবার রাস্তা জুড়ে টাঙানো হল নতুন সাইনবোর্ডও প্রকল্পের আশেপাশে । যেখানে স্পষ্ট করে লেখা, ‘ছবি তোলা ও ভিডিও করা নিষিদ্ধ।’ সেন্ট্রাল ভিস্তা প্রকল্প বিতর্কের ঝড় সোশ্যাাল মিডিয়ায় ওঠার পরই সেন্ট্রাল পাবলিক ওয়ার্কস ডিপার্টমেন্টের তরফে ইন্ডিয়া গেটের কাছে যেখানে নির্মাণকাজ চলছে, সেখানেই এই কথা স্পষ্টভাবে লেখা রয়েছে। পাশাপাশি ওই জায়গায় বিনা অনুমতিতে প্রবেশের উপরেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। যদিও এই বিষয়ে সিপিডব্লুডি-র আধিকারিকদের প্রশ্ন করা হলে কোনও জবাব দিতেও চাননি তাঁরা । এমনকী কোনও বিবৃতি জারি করা হয়নি সরকারের তরফ থেকেও ।
প্রসঙ্গত, কেন্দ্রের নির্ধারিত সময়সূচি অনুযায়ী, সেন্ট্রাল ভিস্তা প্রকল্পের প্রথম কাজ হল প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন তৈরি করা আগামী বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে । একই সময়ের মধ্যে বিশেষ নিরাপত্তা দলের হেডকোয়ার্টারও তৈরি করতে হবে । বারংবার এই প্রকল্পের বিরোধিতা করেছে বিরোধীরা। কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীও টুইট করে বলেছিলেন, ‘সেন্ট্রাল ভিস্তা প্রকল্প হল অপরাধমূলক অপচয়। সরকারের উচিত সাধারণ মানুষের জীবনের দিকে নজর দেওয়া, ঔদ্ধত্ব্যকে সরিয়ে রেখে ।’ এমনকী রাহুল বৃহস্পতিবারও একটি টুইটে লেখেন, “দেশে অক্সিজেন, ভ্যাকসিন, ওষুধের মতো প্রধানমন্ত্রীও নিখোঁজ। শুধু সেন্ট্রাল ভিস্তা প্রকল্প, ওষুধের উপর GST, আর প্রধানমন্ত্রীর ছবির খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে ।”