Dainik Sangbad – দৈনিক সংবাদ
Image default
FEATURED ট্রেন্ডিং

সেই উঠোন, সেই ছাদ.. ৭৫ বছর পর পাকিস্তানের ভিটায় গিয়ে চোখে জল ৯০ এর বৃদ্ধার!

যে বাড়িতে সে প্রথম কেঁদেছিল, যে উঠানে সে প্রথম হাঁটতে শিখেছিল এবং যে ছাদ থেকে সে প্রথমবারের মতো আকাশ দেখেছিল, সবই পেছনে রয়ে গেছে। ৭৫ বছর আগে দেশভাগের বেদনা নিয়ে পাকিস্তানের রাওয়ালপিন্ডি থেকে ১৫ বছরের এক কিশোরী ভারতে এসে এখানেই থেকে যায়। এই কাহিনী ৯০ বছর বয়সী রীনা ছিব্বর ভার্মার কাহিনী যিনি নিজের ভিটায় বাড়ি দেখতে ভারত থেকে পাকিস্তানে গেছেন।

রীনা ছিব্বর ভার্মার গল্প এখন শিরোনামে। রীনার বয়স যখন মাত্র ১৫ বছর, দেশভাগের পর, তিনি পাকিস্তানের রাওয়ালপিন্ডি থেকে তার বাড়ি ছেড়ে ভারতে আসেন। সম্প্রতি, যখন তিনি সীমান্ত পেরিয়ে পাকিস্তানে পৌঁছেছিলেন তার পৈতৃক বাড়ি দেখতে, তখন তার চোখ জলে ভরে উঠেছিল। এক সাক্ষাৎকারে পুরনো স্মৃতি শেয়ার করলেন তিনি। রীনা ভার্মা বলেছেন- আমার সত্যিই মনে হচ্ছে আমি বাড়ি ফিরে যাচ্ছি…

দেশভাগের পর যখন রীনা ছিব্বর ভার্মা তার বাড়ি ছেড়েছিলেন, তখন তিনি হয়তো তার ভিটা আবার দেখার আশা ছেড়ে দিয়েছিলেন। কিন্তু ৭৫ বছর পর অবশেষে তিনি পাকিস্তানে পৌঁছাতে সক্ষম হন।

আসলে, ৯০ বছর বয়সী রীনা ভার্মার স্বপ্ন ছিল যে পৃথিবী ছাড়ার আগে তিনি পাকিস্তানে রেখে যাওয়া বাড়ি দেখতে যান। ‘দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউন’-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রীনা ভার্মাকে পাকিস্তান হাইকমিশনের পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা জানানোর পাশাপাশি তিন মাসের ভিসা দেওয়া হয়েছে। তিনি তিন মাস পাকিস্তানে থাকতে পারবেন।

এতে বলা হয়, রীনা এর আগে বেশ কয়েকবার ভিসার জন্য আবেদন করলেও ভিসার আবেদন মঞ্জুর করা হয়নি। এবার তিনি পাকিস্তানের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী হিনা রব্বানি খারকে তার ইচ্ছা প্রকাশ করে টুইটারে ট্যাগ করলেন, এরপর তার জন্য পাকিস্তানের ভিসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। গত ১৫ জুলাই আটারি-ওয়াঘা সীমান্ত পেরিয়ে রীনা পাকিস্তানে পৌঁছান। এ সময় তিনি খুবই আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন। তিনি ভিসা বিধিনিষেধ শিথিল করার জন্য উভয় দেশের সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।

পুরোনো স্মৃতি শেয়ার করে রীনা ভার্মা বলেন – সেই সময় আমার বড় ভাই বোনদের অনেক মুসলিম বন্ধু ছিল। তারা প্রায়ই আমাদের বাড়িতে আসতেন। বাবা ছিলেন খোলা মনের মানুষ। রীনা ভার্মার মতে, বাড়ির বাইরে, তিনি তার শৈশবে যে স্কুলে পড়াশোনা করেছিলেন সেখানেও যাওয়ার চেষ্টা করবেন। রীনা তার ছোটবেলার বাকি বন্ধুদের সাথেও দেখা করার চেষ্টা করবে।

একটি ভিডিওতে পুনে-ভিত্তিক রীনা ভার্মা বলেছেন- ‘আমি মডার্ন স্কুলে পড়তাম। আমার চার ভাইবোনও একই স্কুলে পড়ত। দেশভাগের আগে হিন্দু-মুসলিম কোনো ইস্যু ছিল না। সোশ্যাল মিডিয়ায় রিনার অনেক পাকিস্তানি বন্ধু রয়েছে। এখানেই পাকিস্তানি নাগরিক সাজ্জাদ হায়দার তার সাথে যোগাযোগ করেন এবং রাওয়ালপিন্ডিতে তার বাড়ির ছবি পাঠান। ধীরে ধীরে পাকিস্তানে আলোচনায় আসে তার গল্প।

Related posts

ভারতেও মাঙ্কিপক্সের হাতছানি? গাজিয়াবাদে নমুনা পাঠানো হলো পরীক্ষার জন্য

News Desk

‘আমার বউয়ের ওপর নোংরা নজর ছিল, তাই…’, বন্ধুকে পার্টি দিতে ডেকে প্রাণ কাড়লেন যুবক

News Desk

হোয়াটসঅ্যাপে ছবি পছন্দ হলেই হোটেলে পৌঁছে যেত! হরিদ্বারে দেহ ব্যবসায় ধৃত বাংলার তরুণী

News Desk