করোনার চতুর্থ ঢেউ কি আসন্ন? দেশের লাগাতার ঊর্ধ্বমুখী দৈনিক সংক্রমণ যেন সেই ইঙ্গিতই দিচ্ছে। আমজনতা স্বাভাবিক ছন্দে ফিরতেই নতুন করে চোখ রাঙাতে শুরু করেছে মারণ ভাইরাস। লাফিয়ে বাড়ছে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা।
বুধবার স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রকের (Ministry of Health and Family Welfare) দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা (Coronavirus) আক্রান্ত হয়েছেন ১৪,৫০৬ জন। গতকাল যে সংখ্যাটা নেমে গিয়েছিল ১২ হাজারের নিচে। দৈনিক সংক্রমণের পাশাপাশি বাড়ল অ্যাকটিভ কেসও। বর্তমানে দেশের সক্রিয় রোগী বেড়ে হয়েছে ৯৯ হাজার ৬০২। গোটা দেশে অ্য়াকটিভ কেসের হার ০.২৩ শতাংশ। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের বুলেটিন অনুযায়ী, ভারতে একদিনে করোনায় প্রাণ হারিয়েছেন ৩০ জন। দেশে এখনও পর্যন্ত কোভিডে মোট মৃতের সংখ্যা ৫ লক্ষ ২৫ হাজার ৭৭।
গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের সংক্রমিতের মধ্যে শুধু মহারাষ্ট্রেই একদিনে আক্রান্ত ৩,৪৮২ জন। একলাফে প্রায় ৪৭ শতাংশ বাড়ল সংক্রমণ। এর মধ্যে মুম্বইয়ে সংক্রমিত ১২৮০। অ্যাকটিভ কেসের সংখ্যাও হু হু করে বাড়ছে। সে রাজ্যে একদিনে মৃত্যু হয়েছে ৫ জনের। তবে তুলনামূলক স্বস্তিজনক রাজধানী দিল্লির করোনা গ্রাফ। সেখানে একদিনে করোনা থাবা বসিয়েছে ৮৭৪ জনের শরীরে। মারণ ভাইরাসে প্রাণ হারিয়েছেন ৪জন।
এসবের মাঝেই একমাত্র স্বস্তি সুস্থতার হার। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এখনও পর্যন্ত দেশে ৪ কোটি ২৮ লক্ষ ৮ হাজার ৬৬৬ জন করোনা থেকে মুক্ত হয়েছেন। যার মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সেরে উঠেছেন ১১,৫৭৪ জন। সুস্থতার হার ৯৮.৫৬ শতাংশ। স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য জানাচ্ছে, এখনও পর্যন্ত দেশে ১৯৭ কোটি ৪৬ লক্ষেরও বেশি ডোজ করোনার টিকা দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে গতকাল ভ্যাকসিন পেয়েছেন প্রায় সাড়ে ১৩ লক্ষ। এদিকে ৭ থেকে ১২ বছরের বাচ্চাদের জন্য ছাড়পত্র দেওয়া হল সেরামের কোভোভ্য়াক্সকে। টিকাকরণের পাশাপাশি করোনা রোগী চিহ্নিত করতে জোর দেওয়া হচ্ছে টেস্টিংয়েও। গতকাল দেশে ৪ লক্ষ ৩৩ হাজার ৫৫৯ জনের নমুনা পরীক্ষা হয়েছে।