বিহারের রাজধানী পাটনা সংলগ্ন নওবতপুর থেকে প্রকাশ্যে এসেছে এক অদ্ভুত ঘটনা। দুই প্রেমিক প্রেমিকা যখন বাড়ি থেকে পালাচ্ছিল, জিআরপি তাদের ধরে ফেলে। এরপর তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হলে বেরিয়ে আসে নতুন গল্প। আসলে নওবতপুরের এক গ্রামে ভুল নম্বরে ফোন চলে যাওয়ায় পরিচিত হয় একটি ছেলে ও আর একটি মেয়ে। পরিচয় বদলায় ঘনিষ্ঠতায় এবং তারা প্রেম করতে শুরু করে। মেয়েটিকে নিয়ে বাড়ি থেকে পালাতে ছেলেটি ট্রেনে চেপে বসে।
![](https://dainiksangbad.com/wp-content/uploads/2021/12/Promises-that-every-Couples-Make-during-their-Love-Relationship-864x554-1.jpeg)
এই পুরো ঘটনাটি পাটনা লাগোয়া নওবতপুরের খেজুরি গ্রামের। এই গ্রামে বসবাসকারী অঙ্কিত নামের এক ছেলে শ্রেয়া রাজ নামের একটি মেয়ের প্রেমে পড়ে। প্রেম যে ভাবে শুরু হয়েছিল সেটিও বেশ অভিনব। আসলে অন্য একটি নাম্বারে কল করতে গিয়ে ছেলেটি মেয়েটির নাম্বারে কল করে ফেলেছিল, সেখান থেকেই পরিচয় অতঃপর প্রেম।
অঙ্কিত এবং শ্রেয়ার প্রথম কথোপকথন হয়েছিল ২০২১ সালে। প্রায় এক বছর ধরে তারা একে অপরের সাথে কথা বলতে থাকে এবং একে অপরের প্রতি অনুরক্ত হয়ে পড়ে। অঙ্কিত কুমার তার বান্ধবী শ্রেয়া রাজকে বলেছিলেন যে তিনি অন্য শহরে গিয়ে বিয়ে করবেন। এই ভাবেই একদিন বান্ধবী শ্রেয়াকে নিয়ে রেলস্টেশনে পৌঁছে যান অঙ্কিত। গুজরাটের সুরাট শহরগামী ট্রেনে শ্রেয়ার সঙ্গে চেপে বসেন অঙ্কিত।
ট্রেনে বসে এই যুগল মুঘলসরাই পৌঁছে যায়। যে কোনও কারণেই হোক না কেন জিআরপি এই যুগলের উপর সন্দেহ করে এবং তাদের হেফাজতে নিয়ে নেয়। জিজ্ঞাসাবাদের সময়, অঙ্কিত এবং শ্রেয়া পুরো ঘটনাটি তাদের বলে, তারপরে অঙ্কিতের বাবা বিক্রমাদিত্য শর্মা এবং শ্রেয়ার বাবা নবনীত শর্মার সাথে কথা বলে জিআরপি। তারপর রেলওয়ে পুলিশ দুজনের পরিবারকে ডেকে তাদের হস্তান্তর করে।
অঙ্কিত কুমার ও শ্রেয়া রাজ নিজ নিজ পরিবারের সাথে বাড়ি ফিরলে দুই পরিবারের মধ্যে কথাবার্তা হয়। আলাপ-আলোচনা শেষে উভয় পক্ষই রাজি হয় এবং পরিবারের উপস্থিতিতে রীতি মেনে মন্দিরে বিয়ে হয় অঙ্কিত-শ্রেয়ার। রং নাম্বারে প্রেম, জিআরপি ইত্যাদি পেরিয়ে তাদের এই বিয়ে এখন পুরো এলাকায় আলোচনার বিষয়।