Dainik Sangbad – দৈনিক সংবাদ
Image default
ট্রেন্ডিং

হবু পাত্র কি সন্তানের জন্ম দিতে পারবে? জানতে বিয়ের আগে পাত্রের বীর্য পরীক্ষা মেয়ের বাবার!

বিয়ে দুই মানুষের সম্মতিতে একটি সামাজিক বন্ধন। কথায় আছে বিয়ের আগে লাখ কথা। প্রেম করে বিয়ে করলে আলাদা ব্যাপার কিন্তু দুই পরিবারে যদি দেখে শুনে বিয়ে দেওয়া হয় তাহলে পাত্র-পাত্রীর ঠিকুজি কোষ্ঠী মিলিয়ে দেখার চল বহু পরিবারই মেনে চলে। বিয়ের আগে অনেকে আবার পাত্র, পাত্রী কি তার পরিবারের বিষয়ে খোঁজ খবর করে, পাত্র পাত্রীর রক্ত পরীক্ষাও করা হয়। পাত্রের স্বভাব চরিত্র কেমন, বা তার আয় ইত্যাদি কেমন যাবতীয় খোঁজখবরের পর বেশ সুনিশ্চিত হয়ে তাঁর সঙ্গে মেয়ের বিয়ে স্থির করেন অনেক মেয়ের বাবা মা। এমনকি হবু জামাইয়ের কর্মক্ষেত্রে খোঁজ খবর করেন অনেকে।

কিন্তু হবু জামাইয়ের স্পার্ম কাউন্ট পরীক্ষা করিয়ে দেখে নেওয়া! এমন কথা কেউ শুনেছে বলে মনে হয়না। কিন্তু এমনটাই ঘটল খোদ কলকাতার বুকে। মেয়ের জন্য যে পাত্র স্থির করেছেন সেই ব্যাক্তি সন্তানের জন্ম দিতে সমর্থ কি না, সেই কৌতুহলের অবসান ঘটাতে হবু জামাইয়ের বীর্য পরীক্ষা করিয়ে আনতে বললেন মেয়ের বাবা। সম্প্রতি এমনই ঘটনার কথা সোশ্যাল মিডিয়াতে জানালেন পার্ক স্ট্রিটের একটি বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. ইন্দ্রনীল সাহা। ফেসবুকে তিনি একটি পোস্টে করেছেন। যেখানে তিনি জানিয়েছেন, এক যুবক সম্প্রতি তাঁর কাছে আসেন ‘স্পার্ম কাউন্ট’ করে দেওয়ার অনুরোধ নিয়ে। যুবকের ডাক্তারের কাছে আর্তি ছিল, “প্লিজ টেস্টটা করে দিন। আমার হবু শ্বশুর রিপোর্ট দেখতে চেয়েছেন।”

যুবকের কথা শুনে অবাক হয়ে যান চিকিৎসক ইন্দ্রনীল সহ। তিনি জানিয়েছেন, “এমনও অভিজ্ঞতা হল। এর পর তো হবু জামাই সহবাসে সক্ষম কী না তাও হয়ত জানতে চাইবেন হবু শ্বশুর! বেচে থাকতে আরও কত কী দেখতে হবে কে জানে!”

ইন্দ্রনীল বাবু নিজের ফেসবুক পোস্টে ওই পাত্র-পাত্রীর বা তাঁদের পরিবারের নাম-পরিচয় গোপন রেখে লিখেছেন, ‘এত দিন জানতাম, দেখেশুনে বিয়ে হলে ঠিকুজি-কোষ্ঠি মেলানো হয়। শুনেছি, কখনও মাধ্যমিকের অ্যাডমিট কার্ড দেখে মেয়ের বয়স মেলানো হয়। কিংবা দেখতে চাওয়া হয় ছেলের স্যালারি স্লিপ। (তবে) মেয়ের বাবা ছেলের বীর্য পরীক্ষার রিপোর্ট দেখতে চেয়েছেন। এমনও অভিজ্ঞতা হল এ বার। সেটা নয় সহজে পাওয়া যাবে। কিন্ত, এ বার যদি জানতে চান হবু জামাই সহবাসে সক্ষম কি না, তবে কেলো করেছে!’ সঙ্গে তাঁর মন্তব্য, ‘আরও কী যে দেখতে শুনতে হবে, কে জানে!’

ফেসবুক চিকিৎসকের এই পোস্টটি শেয়ার হওয়া মাত্রই নেট নাগরিকদের কাছে এটি ভাইরাল। এই পোস্ট ঘিরে প্রচুর চর্চা সোশ্যাল মিডিয়াতে। কেউ কেউ ভাবছিলেন এটি শুধুই মজা। সেইমতো অনেকে নিজের মতামত দেন। তবে ড. ইন্দ্রনীল সাহা পরিস্কার জানিয়ে দেন ‘বিষয়টা সম্পূর্ন সত্যি’।

Related posts

‘মা বলেছিল সুস্থ হয়ে উঠে আসব ঠিক’, ঘরের মধ্যে মায়ের কঙ্কালের সাথেই ৬-৭ মাস বাস মেয়ের

News Desk

ভারতের পুলিশের উর্দির রঙ খাকি কেন? আর কলকাতা পুলিশের ইউনিফর্ম কেন সাদা! জানেন?

News Desk

অলৌকিক নাকি? উত্তরপ্রদেশে চার হাত, চার পা সহ শিশুকে দেখতে ভিড়, বিষয়টা কি?

News Desk