ইংল্যান্ডের বোল্টনের বাসিন্দা লিয়ানে উইলিয়ান। বছর ৩৯-এর এই মহিলার ২০০৮ সালে ধরা পড়ে গ্যাসট্রোপারেসিস (Gastroparesis) নামক একটি বিরল রোগ। তারপর থেকেই বদলে যায় মহিলার জীবন। দিনে ৭০ বার বমি করে ফেলেন তিনি। ভাবা যায়!
গ্যাসট্রোপারেসিস রোগটিতে আক্রান্ত মানুষের পাকস্থলী স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় খালি হয় না। ফলে রোগী অসুস্থ হয়ে পড়েন, বমি পায়। এই সমস্যা সমাধানে রোগীর পেটে গ্যাসট্রিক পেসমকার লাগানো হয়। এবার আসুন জেনে নেওয়া যাক এই বিরল রোগ সম্পর্কে আরও কিছু তথ্য।
গ্যাসট্রোপারেসিস রোগটি কী?
গ্যাসট্রোপারেসিস কথাটির অর্থ হল পাকস্থলীর একটি অংশে প্যারালিসিস হওয়া। এই রোগটি বিরল। প্রতি ১ লক্ষ মানুষে ১ জনের এই রোগ হওয়ার আশঙ্কা থাকে। এই রোগে পেটের স্নায়ু, পেশি ঠিকমতো কাজ করতে পারে না। ফলে পাচনক্রিয়া খুবই ধীর হয়ে যায়।
এই কারণে পাকস্থলীও নিজের মতো করে খালি হতে পারে না। অর্থাৎ বেশিরভাগ খাবারই পাকস্থলীতেই রয়ে যায়। তখন বমি, পেটে অসহ্য ব্যথা ইত্যাদি সমস্যা দেখা যায়।
কেন এই রোগ হয়?
না, তার উত্তর বিজ্ঞানের কাছে নেই। তবে বিশেষজ্ঞরা বিশ্বাস করেন, টাইপ ২ ডায়াবিটিসের কারণে সুগারের মাত্রা বেশি থাকলে এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে। এছাড়া ব্যথা, অবসাদ ও অ্যালার্জির ওষুধ থেকে এই সমস্যা হতে পারে।
আসলে আমাদের শরীরের ভেগাস নার্ভ পাকস্থলীর পেশিকে সংকেত দেয় যে এবার পাকস্থলী থেকে খাদ্যকে অন্ত্রের দিকে ঠেলে দিতে হবে। কিন্তু অনেকসময় এই ভেগাস স্নায়ু ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে যায়। তখন কোনও সংকেত পৌঁছয় না পাকস্থলীতে। এই কারণেই দেখা দেয় সমস্যা।
এই রোগের লক্ষণ:
গ্যাসট্রোপারেসিস রোগের উপসর্গ হল-
বমি হওয়া
বমিবমি ভাব
পেট ফোলা
পেট ব্যথা
পেট ভর্তি থাকার অনুভূতি
অ্যাসিড
রক্তে সুগারের মাত্রা বেড়ে যাওয়া
খিদে কমে যাওয়া ইত্যাদি।
তবে মনে রাখবেন, অন্য বহু পেটের রোগের সঙ্গে এই অসুখের উপসর্গের মিল পাওয়া যেতে পারে। তাই এই রোগ নিণর্য় বেশ কঠিন।