Dainik Sangbad – দৈনিক সংবাদ
Image default
ট্রেন্ডিং

মলদ্বারে হাওয়া ঢুকিয়ে মজা সহকর্মীদের! চূড়ান্ত পরিণতির শিকার হুগলির জুট মিল শ্রমিকের

মজা(Fun) যখন পরিণত হয় সাজায়! মজা করতে গিয়ে সেটা যখন সাজায় পরিণত হয় তখন চোখের জল ফেলা ছাড়া সত্যিই আর কোনও উপায় থাকে না। যার জীবন চলে যাওয়ার সে কিন্তু চলেই যায়। মজার মাসুল যেমন গুনতে হয় তাঁকে ঠিক তেমনই মজার সাজা ভোগ করে তাঁর পরিবার পরিজনেরা। সেই রকমই একটি ঘটনা ঘটছে হুগলির ভদ্রেশ্বর এলাকায়(Hoogly)।

সহকর্মীরা ‘মজা’ করতে গিয়ে এক জুট মিল শ্রমিকের মলদ্বারে হাওয়া ভরে দিয়েছিল। তার জেরে মৃত্যু হল এক জুট মিল শ্রমিকের। এই ঘটনা ঘটেছে হুগলির ভদ্রেশ্বরে।

চাঁপদানির নর্থব্রুক জুটমিলে ওয়াইন্ডিং বিভাগে ঠিকা শ্রমিকের কাজ করতেন রহমত আলি (২৩)। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ১৫ নভেম্বর রহমত নাইট ডিউটি করতে কারখানায় গিয়েছিলেন। পর দিন ভোরে ছুটির পর সহকর্মীরা হাওয়া দেওয়ার মেশিন দিয়ে তাঁর মলদ্বারে হাওয়া ভরে দেন। এর পর বাড়ি ফিরে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন রহমত। তাঁকে চুঁচুড়া ইমামবাড়া জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে অবস্থার অবনতি হওয়ায় কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালেও নিয়ে যাওয়া হয়। বুধবার রহমতের মৃত্যু হয় সেখানেই।

রহমতের ভাই আজমত আলি বলেন, ‘‘চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন হাওয়ার চাপে যকৃৎ দারুণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। শেষে বুধবার ভোরে দাদার মৃত্যু হয়। ওর সহকর্মী শাহাজাদা খান এবং আরও কয়েক জন এই ঘটনায় যুক্ত। আমরা ক্ষতিপূরণ চাই।’’ ভদ্রেশ্বর থানার পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এ নিয়ে অভিযোগ দায়ের হয়েছে। অভিযুক্তদের খোঁজ চলছে।

ভদ্রেশ্বর থানার পুলিশ সূত্রে অবশ্য জানা গিয়েছে, রহমতের বিষয় থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। অভিযুক্তদের খোঁজ চলছে। তাঁদের জন্য কড়া শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে। বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও অন্যান্য জায়গায় বিভিন্ন সময় অনেকের সঙ্গে এমন ধরনের বেশ কিছু ইয়ার্কি বা মজা করা হয়ে থাকে যা হয়তো অন্যজনের জীবনে বিপদ ডেকে আনতে পারে। তাই আইনত ভাবে এই ধরনের মজাকে ব্যান করে দেওয়া হয়েছে। তবুও প্রান দিয়ে সেই রকমই এক মজার মাসুল দিতে হল ২৩ বছরের একটি তাজা প্রানকে।

Related posts

স্বামীর উপহার দেওয়া হোম বডি ম্যাসাজ সার্ভিস স্ত্রীর জন্য পরিণত হলো দুঃস্বপ্নে! কি হয়েছিল?

News Desk

নির্যাতনের শিকার! জেঠতুতো দাদার বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ এনে সাহায্য প্রার্থী অভিনেত্রী

News Desk

বাঁচতে পারেন ১৫০ বছর পর্যন্ত! বলছে গবেষণা

News Desk