আজ মহানবমী, নবরাত্রিতে প্রথম থেমে ন’দিন ধরে দূর্গা মায়ের প্রত্যেকটি রূপের পুজো করতে হবে। ভোগের তারতম্য থাকে, ভিন্ন দিনের ভিন্ন রকম ভোগ দেওয়া হয় এই ন’দিন । দেবী সিদ্ধিদাত্রীর পুজো হয় নবরাত্রির শেষ দুদিন অর্থাৎ নবমী আর দশমী। আসুন এই পুজোর মাহাত্ম্য, আচার ও রীতি দেখে নেওয়া যাক।
দেবী সিদ্ধিদাত্রীর পুজো নবমীতে:
সিদ্ধিদাত্রী রূপ হল নবদুর্গার নবম তথা শেষ রূপ। নবদুর্গার শেষ ও দেবী দুর্গার নবম শক্তি তিনি। সবধরনের সিদ্ধি দান করে থাকেন এই দেবী। আট ধরনের সিদ্ধি তথা অনিমা, মহিমা, গরিমা, লঘিমা, প্রাপ্তি, প্রকাম্য, ইশিত্ব ও বাশিত্বর কথা উল্লেখ রয়েছে মার্কন্ডেয় পুরাণে। সব ভক্ত এবং সাধকদের এই সিদ্ধি প্রদান করেন মা সিদ্ধিদাত্রী। সিংহ মাতার বাহন তবে পদ্মাসনও হন তিনি।
পুরাণের কথা:
দেবী ভগবত্ পুরাণে আছে, দেবী পার্বতী কে স্বয়ং মহাদেব সিদ্ধিদাত্রী রূপে পুজো করেছিলেন এবং তার ফলে সকল সিদ্ধি লাভ করেন মহাদেব। সর্ব সিদ্ধি লাভ করেন মহাদেব সিদ্ধিদাত্রীর আশীর্বাদেই।
প্রচলিত কাহিনী:
হিন্দুদের বিশ্বাস, এই দেবীর পুজো নবরাত্রির নবম দিনে করলে এবং সঠিকভাবে পুজো করলে প্রাপ্তি হয় সব প্রকারের সিদ্ধি। মাতা তাঁর ভক্তদের এই দিন বিশেষ ফলপ্রদান করেন।
দেবী সিদ্ধিদাত্রীর রূপ:
সিংহ হলো দেবী সিদ্ধিদাত্রীর বাহন। চারটি ভুজা আছে মায়ের , বাঁ দিকের উপরের হাতে কমলপুষ্প ও নীচের হাতে শঙ্খ আর ডান দিকের উপরের হাতে গদা, আর নীচের হাতে চক্র। মায়ের রূপ এক্ষেত্রে শান্ত।
মায়ের পুজোয় কোন ভোগ:
তিলের তৈরি নাড়ু বা খাবার ভোগ হিসেবে দেওয়ার চল রয়েছে পদ্মাসনে বসা দেবীকে। মনে করা হয়, এতে অপঘাতে মৃত্যু হয় না ভক্তের।