উত্তর প্রদেশের লখিমপুর খেরি থেকে এক বিব্রতকর সম্পর্কের খবর সামনে এসেছে। এক বোন তার নিজের বোনকেই গণধর্ষণ করিয়েছে। অপরাধ করার পর অভিযুক্তরা নাবালিকাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। মঙ্গলবার সদর কোতয়ালী এলাকার একটি আখ ক্ষেতে মেয়েটির মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়। বিষয়টি সম্পর্কে তথ্য দিয়ে নিহতের আসল বোনসহ সাতজনকে আটক করেছে পুলিশ।
২৪ ঘন্টার মধ্যে পুলিশ ঘটনার তদন্ত করেছে
বিষয়টি সদর কোতয়ালী এলাকার। গণধর্ষণের পর শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয় নাবালিকাকে। আখ ক্ষেতে নাবালকের দেহ পাওয়া গেছে। পুলিশ এই বিষয়ে দ্রুত তদন্ত শেষ করেছে। বুধবার, পুলিশ সুপার সঞ্জীব সুমন বলেছিলেন যে ডগ স্কোয়াড, ফরেনসিক দল এবং অন্যান্য দলগুলিকে তাৎক্ষণিকভাবে মোতায়েন করা হয়েছিল।
এসপি জানান, ওই নাবালিকাকে ধর্ষণ করেছে ৪ জন। এ সময় চাঞ্চল্যকর ভাবে তার বড় বোন তার হাত ধরে রেখেছিল। মাঠের বাইরেও পাহারা দিচ্ছিলেন দুজন। পরে তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়। এই ঘটনায় নিহতের আসল বোনসহ সাতজনকে আটক করেছে পুলিশ।
৫ জনের সাথে বড় বোনের সম্পর্ক ছিল:
এসপি জানান, নিহতের বড় বোনের সঙ্গে গ্রামেরই ৫ জনের সম্পর্ক ছিল। ছোট বোন এর বিরোধিতা করেন। এ কারণে বড় বোন তার ওপর খুব রেগে যায়। এ কারণেই ছোট বোনকে হত্যার ষড়যন্ত্র করেন তিনি। ষড়যন্ত্রে বড় বোন নাবালিকাকে মলত্যাগের জন্য আখ ক্ষেতে নিয়ে যায়। সেখানে আগে থেকেই তার সহযোগীরা দাঁড়িয়ে ছিল, যারা নাবালিকাকে ধরে ফেলে। এরপর তাকে গণধর্ষণ করে। এসপি জানান, এ মামলার প্রধান আসামি নিহতের বোন। গ্রামের বাসিন্দা রঞ্জিত চৌহান, অমর সিং, অঙ্কিত, সন্দীপ চৌহান, দীপু চৌহান, অর্জুন এবং বোন রজনীকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে জেলে পাঠিয়েছে।