বিনোদন জগত সবসময়ই বিতর্কে মোড়া। মাদক যোখ, মাফিয়া রাজ, খুন, দেহ ব্যবসা, পরকীয়া, যৌন হেনস্থা বাদ যায় না কিছুই। তেমনই এই বিনোদন জগতের সাথে যুক্ত বেশ কিছু অভিনেত্রীদের যোগ ছিল দেহ ব্যবসার সাথে।
এই অভিনেত্রীদের মধ্যে অধিকাংশ দক্ষিণী সিনেমার সঙ্গে যুক্ত। 2010 সালে গ্রেফতার হয়েছিলেন দক্ষিণী সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেত্রী সায়রাবানু। হায়দরাবাদে পুলিশ রেইড-এ আটক করা হয় তাঁকে। 2011 সালে যৌনচক্র চালানোর অপরাধে বেঙ্গালুরু পুলিশ গ্রেফতার করেছিল কন্নড় অভিনেত্রী যমুনাকে। তেলেগু ফিল্মের নায়িকা কিন্নেরা একসময় যৌন পেশার সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছিলেন। তামিল নায়িকা ও আইটেম ডান্সার আইশ আনসারি 2011 সালে জড়িয়ে পড়েন দেহ ব্যবসায়। চেন্নাইয়ে দেহব্যবসা চালানোর অভিযোগে একাধিকবার গ্রেফতার হয়েছেন দক্ষিণী নায়িকা ভুবনেশ্বরী।
তবে এমন অনেক অভিনেত্রীরা আছেন যারা অভিনয় করতে এসে ‘এসকর্ট’ হতে বাধ্য হয়েছিলেন। জনপ্রিয় মডেল ও অভিনেত্রী শার্লিন চোপড়া নিজেও এই দলে পড়েন। কিছুদিন আগেই তিনি ট্যুইট করে জানান মুম্বাই শহরে কাজের খোঁজে এসে এসকর্ট সার্ভিসের জালে জড়িয়ে পড়েছিলেন তিনি। সেইসময় তার হাতে কোনো কাজ ছিল না বাড়ি ফিরে যেতেও চাননি তিনি। কম শিক্ষিতা হওয়ায় কোনো কল সেন্টারে চাকরি পাননি তিনি। পরে অবশ্য আইনের সাহায্য নিয়ে তিনি বেরিয়ে আসেন। জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেত্রী শ্বেতা বসু প্রসাদকে ট্যালেন্ট এজেন্সির নাম করে একটি হোটেলে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে মধুচক্র চলছিল। পুলিশের হাতে গ্রেফতার হতে হয় তাকে। পরে কোর্টে নির্দোষ প্রমাণিত হলেও তিনি ডিপ্রেসনে চলে গেছিলেন সেখান থেকে তাকে তার মেন্টর নাগেশ কুকনূর বের করে আনেন। পরে অবশ্য নিজের অভিনয়ের জন্য বেশ প্রশংসা পেয়েছিলেন তিনি।