হায়দ্রাবাদের তেলেঙ্গানার জানগাঁওতে গত সোমবার অর্থাৎ ১লা আগস্ট একটি মর্মান্তিক ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে, যেখানে একজন মহিলা তার মাত্র এক বছর বয়সী শিশুকন্যাকে একটি ড্রেনে ফেলে দেয় এবং মিথ্যা রটানোর চেষ্টা করেছিলেন যে রাস্তার কোনো চেইন ছিনতাইকারীই তাকে হত্যা করেছে। মহিলার কাছ থেকে এই চাঞ্চল্যকর কথা শুনে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তদন্ত শুরু করে দেয়। অথচ তারা ওই এলাকায় উপস্থিত সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ স্ক্যান করেও কোনো ক্লু খুঁজে পায়নি।
মহিলা তার অপরাধ স্বীকার করে নেয়:
মহিলার প্রাথমিক দাবি ছিল যে একজন লোক ডাকাতির চেষ্টা করে। প্রতিহত করার পরে সে শিশুটিকে ড্রেনে ফেলে দেয়। কিন্তু পুলিশের শুরু থেকেই তার বক্তব্যে অসঙ্গতি লাগে। শেষে বাচ্চা মেয়েটিকে হত্যার সন্দেহে পুলিশ তাকে তুলে নিয়ে যায়। পুলিশি জেরার মুখে প্রসন্ন নামে ওই মহিলা তার অপরাধ স্বীকার করেছেন বলে জানা গিয়েছে। পুলিশ এই চাঞ্চল্যকর ঘটনায় অভিযুক্ত মহিলার বক্তব্যে বেশ কয়েকটি মিথ্যা খুঁজে পায় এবং কোনও ক্লু খুঁজে না পেয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। শেষ অবধি জেরার মুখে ভেঙ্গে পড়েন মহিলা।
মহিলা একটি বানোয়াট গল্প তৈরি করেছিলেন:
মহিলাটি একটি বানোয়াট গল্প তৈরি করেছিলেন, তিনি বলেছিলেন যে একজন লোক মেয়েটিকে তার হাত থেকে ছিনিয়ে নিয়ে ড্রেনের জলে ফেলে দিয়েছে। তিনি পুলিশকে জানান, অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি তার গলায় পড়া চেইন ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। তিনি দাবি করেন যে তিনি চেইন ছিনতাইয়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করলে লোকটি তার হাত থেকে শিশুটিকে ছিনিয়ে নিয়ে ড্রেনের জলে ফেলে দেয়।
মহিলার চিৎকার শুনে স্থানীয় লোকজন ছুটে এসে শিশুটিকে ড্রেন থেকে বের করে। তাকে সরকারি জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তদন্ত শুরু করে। কিন্তু অচিরেই তারা বুঝতে পারে কোনো চেইন ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেনি। এরপর জেরা করলেই মহিলা নিজের অপরাধ কবুল করেন। কিন্তু কেন ওই মহিলা ঘটালেন এই চাঞ্চল্যকর ঘটনা তা এখনও জানা যায়নি।