মাত্র একটি রুটির জন্য দিল্লিতে খুন হলেন রিকশাচালক। আসলে, ২৬ শে জুলাই দিল্লি পুলিশ করোলবাগ এলাকায় একজন রক্তাক্ত ব্যক্তিকে খুঁজে পেয়েছিল, যাকে হাসপাতালে নিয়ে পৌঁছানোর আগেই মারা গিয়েছিল।
ওই ব্যক্তির নাম মুন্না। মুন্নাকে ছুরি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। আগ্রার বাসিন্দা মুন্না দিল্লিতে রিকশা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতেন। হত্যাকাণ্ডের প্রত্যক্ষদর্শীর জবানবন্দিতে বলা হয়, মঙ্গলবার (২৬ জুলাই) রাত ১০টার দিকে মুন্না (রিকশাচালক) তার সঙ্গীসহ বিষ্ণু মন্দির মার্গ করোলবাগে খাবার খেতে আসে এবং দুজনেই তাদের রিকশা দাঁড় করিয়ে দেয়।
![](https://dainiksangbad.com/wp-content/uploads/2022/07/IMG-20220728-WA0033-1024x529.jpg)
এ সময় নেশাগ্রস্ত এক ব্যক্তি সেখানে এসে খাবার চায়। মৃত ব্যক্তি মুন্না তার খাবারের প্যাকেট থেকে তাকে একটি রুটি দেয়, এরপর অভিযুক্ত আবার আরেকটি রুটি চায়, তখন মুন্না তা দিতে অস্বীকার করে। অভিযুক্ত মাতাল অবস্থায় ছিল, সে চিৎকার ও গালিগালাজ শুরু করে। মুন্না তার বিরোধিতা করলে অভিযুক্ত দীর্ঘ ধারালো লোহার ছুরি সদৃশ অস্ত্র বের করে তার পেটে ছুরিকাঘাত করে।
এরপর অভিযুক্ত সেখান থেকে করোলবাগের দিকে পালিয়ে যায়। প্রত্যক্ষদর্শীরা তাকে প্রায় ৪০০ থেকে ৫০০ মিটার ধাওয়া করে, কিন্তু ব্যর্থ হয়। সেখানে উপস্থিত লোকজন আহত রিকশাচালককে অটোযোগে আরএমএল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
![](https://dainiksangbad.com/wp-content/uploads/2022/07/IMG-20220728-WA0034.jpg)
করোলবাগ একটি ব্যবসা কেন্দ্র এবং রাস্তার পাশের পার্কে অনেক শ্রমিক ও নিঃস্ব মানুষ উপস্থিত ছিলেন। ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ রাস্তার পাশে এবং পার্ক এলাকায় বসবাসকারী সমস্ত শ্রমিক এবং সন্দেহভাজনদের যাচাইকরণ শুরু করে এবং নিবিড় স্ক্যানিংও করা হয়। পুলিশের এই কঠোর পরিশ্রম সার্থক হয়েছে।
পুলিশের দল করোলবাগে পৌঁছে পার্কে ঘুমন্ত সন্দেহভাজন একজনকে আটক করে এবং তাকে ক্রমাগত জিজ্ঞাসাবাদ করে, তারপর সে তার অপরাধ স্বীকার করে। অভিযুক্তের নাম ফিরোজ খান ওরফে মান্নু (বয়স ২৬ বছর)।প্রত্যক্ষদর্শীদের জবানবন্দি ও স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে হত্যা মামলার আসামি ফিরোজ খান ওরফে মান্নুকে গ্রেপ্তার করা হয়। অপরাধে ব্যবহৃত ছুরিও উদ্ধার করা হয়েছে।