বাচ্চা থেকে বুড়ো প্রত্যেকেই যেন প্রাপ্তবয়স্ক ছবির নেশায় পাগল! নারী পুরুষ নির্বিশেষে বয়সের চিন্তা না করেই একটু সুযোগ পেলেই নীল ছবি দেখার অপেক্ষায় থাকে। একটু উষ্ণতা, একটু অন্যরকম শিহরণ এসবের অপেক্ষা করতে থাকে মানুষ। কিন্তু এখন হাতের মুঠোয় মোবাইল আর তাতে আনলিমিটেড ইন্টারনেট থাকার দরুন পর্ণগ্রাফি মানুষের পর্ন আসক্তি আরও বাড়িয়ে দিচ্ছে। আর এতে শুধু অবিবাহিতরাই নেই, বিবাহিতরাও সামিল আছেন। কিন্তু এর প্রভাব তাদের বিবাহিত জীবনেও পড়ছে। এই নীল ছবির নেশার কারণে বিবাহিত জীবনেও অন্ধকার নেমে আসছে । পর্ণের চাহিদাও বাড়ছে যত দিন যাচ্ছে।
এই নীল ছবি কতটা ক্ষতিকারক? নীল ছবি সমাজ, সম্পর্ক এমনকি শরীর-কীভাবে ক্ষতি করছে? বিবাহিত সম্পর্কে থাকা নর ও নারীর পর্ন দেখার প্রবণতাতেই নাকি লুকিয়ে আছে তাঁদের সম্পর্কের গভীরতা এমনটা এক গবেষণা বলছে! একটা বৈবাহিক সম্পর্ককে নষ্ট করে দেওয়ার জন্য পর্ন ছবিই যথেষ্ট বড় কারণ হয়ে উঠতে পারে এমনটাই নতুন এক গবেষণার দাবি।
নতুন গবেষোণায় দাবি করা হয়েছে, পর্ন দেখেন বিয়ের পর এমন সম্পর্ক বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই বিচ্ছেদের পথে এগিয়েছে। আর পর্ন যাঁদের ওপর সবথেকে বেশি প্রভাব ফেলে, তাঁরা হলেন নারী বৈবাহিক সম্পর্কের বিচ্ছেদে। সমাজবিদরা দাবি করেছেন আমেরিকার ওকলাহোমা বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণার পর যে নারীরা দিনে ৩ বারের থেকেও বেশি নীল ছবি দেখেন তাঁদের ঝোঁক বেশি দেখা যায় বিবাহ বিচ্ছেদের। তাঁদের আরও দাবি বিবাহিত নারী ও পুরুষের শরীরে পর্ন প্রভাব বিস্তার করে এবং তাঁদের স্বভাবজাত যৌন আচরণেও নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।
পর্নোগ্রাফির সবচেয়ে বড়ো সমস্যা হল, যে সব মেয়েদের এখানে দেখা যায় তাঁদের শারীরিক গঠন, সৌন্দর্য, সব কিছুই একশো শতাংশেরও বেশি নিখুঁত। অমন নিখুঁত শরীর বা সৌন্দর্যের অধিকারিণী বাস্তবে কেউ নেই বললেই চলে। তাই নিজের চেহারাটা নিয়ে হীনম্মন্যতা বোধ তৈরি হতে পারে পরদায় তাঁদের দেখার পর। মনে রাখবেন, নিছক কল্পনা পর্নোগ্রাফির জগৎটা এবং তার কাজ হল আর একটু রঙিন করে তোলা আপনার বাস্তব জীবনটাকে। তাকে এর বেশি গুরুত্ব দেওয়ার কোনও দরকার নেই।