Dainik Sangbad – দৈনিক সংবাদ
Image default
ট্রেন্ডিং

চীন অধিকৃত তিব্বতের প্রতি পরিবারের এক সদস্যকে যোগ দিতেই হবে সেনাবাহিনীতে! ফতোয়া জারি চীনের

নিজেদের সেনাবাহিনী তে তিব্বতি তরুণদের যোগদানে বাধ্য করছে চীনা (China) সরকার। সম্প্রতি জিনপিং গেছিলেন তিব্বত (Tibet) সফরে। তারপরই নয়া ফতোয়া জারি হয়েছে চীনা তরফে। বলা হয়েছে চিন অধিকৃত তিব্বতের প্রত্যেক পরিবার থেকে একজন করে সদস্য এর সেনাবাহিনীতে যোগদান বাধ্যতামূলক। এমনটাই নির্দেশ এল বেজিং থেকে। ভারত-চিন সীমান্তে (LAC) গত বেশ কিছু বছর ধরে বাড়ছে দুই দেশের মধ্যে সমস্যা। সন্মুখ সমরেও পড়েছে এই দুই দেশ গত বছর। প্রাণও হারিয়েছেন দুই দেশের বেশ কিছু সেনা। এমন অবস্থায় জিনপিংয়ের ‘আচমকা’ তিব্বত সফরের পর ভারত চীন সীমান্তে তিব্বতী পরিবার থেকে সেনা নিয়োগ করে তাদের মোতায়েনের নির্দেশ দেওয়ার সিদ্ধান্ত বেশ তাৎপর্যপূর্ণ।

ভারত-চিন বিভিন্ন সীমান্ত বিশেষত লাদাখের সীমান্ত এবং অরুণাচলের সীমান্ত বরাবর অতিরিক্ত সেনা মোতায়েন করছে বেজিং। আর ভারতের সাথে থাকছে যেই সব সীমান্ত, সেই খানেই পাঠানো হচ্ছে তিব্বতি পরিবারের যুবকদের। এক সংবাদ সূত্র অনুযায়ী, লাল ফৌজের অন্তর্গত হতে তিব্বতি যুবকদের দিতে হচ্ছে বিশ্বাসযোগ্যতার প্রমাণ। তাহলেই ছাড়পত্র মিলছে সেনাবাহিনীতে (PLA) ঢোকার। আর এই সব জওয়ানদের তাদের সেনাবাহিনীর সময়কালে পুরোটাই অতিবাহিত করতে হবে ভারত-চিন সীমান্তে। তারা সেখানেই মোতায়েন থাকবে, তাঁদের চীনের অন্য কোনো স্থানেই আর মোতায়েন করা হবে না বলেই জানা গিয়েছে।

China ask every tibetian family to send one of their member to army

ভারতের এক সরকারি সূত্র তরফে জানা গেছে চীনের অনৈতিক আগ্রাসনের উচিৎ জবাব দিতে মাত্র কিছু মাস কয়েক আগেই ভারতীয় সেনাবাহিনীর বিশেষ ট্রেনিং প্রাপ্ত সন্ত্রাসদমন শাখার প্রায় ১৫ হাজার সেনা জওয়ানকে পূর্ব লাদাখ সীমান্তে মোতায়েন করা হয়েছে। ভারতের তরফে এমন পদক্ষেপ নেওয়ার পরই চিনের তরফেও সীমান্ত ঘিরে শুরু হয়েছে নানা তৎপরতা। শুরু হয়েছে সক্রিয়তা। বিশেষ ভাবে, লাদাখে সংঘর্ষের আবহে চিনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার জন্যে তিব্বতি শরণার্থীদের নিয়ে গঠিত স্পেশাল ফ্রন্টিয়ার ফোর্স (এসএফএফ) এর কমান্ডো বাহিনী মোতায়েন করেছিল ভারত। হিমালয়ের দুর্গম এলাকায় যুদ্ধ করার জন্য বিশেষভাবে ট্রেনিং প্রাপ্ত এই ‘স্পেশ্যাল ফ্রন্টিয়ার ফোর্স’-এর সদস্যরা। এই ফোর্সের সকলেই তিব্বতি। এরা চিনের তিব্বত দখলের সময় লাল বাহিনীর হাত থেকে বাঁচতে দলাই লামার মতই ভারতের কাছে আশ্রয় নিয়েছেন। ১৯৬২ সালে চিন-ভারত যুদ্ধের পর তৈরি করা হয়েছিল এই এসএফএফ। প্যাংগং লেকের ধারে চিনের সঙ্গে সংঘাতে শহিদ হন এক তিব্বতি জওয়ানও। ভারতীয় সেনাবাহিনীর সেই পদক্ষেপ থেকেই শিক্ষা নিয়েছে চিন।

সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, এক সরকারি সূত্র জানিয়েছে মাস কয়েক আগেই ভারতীয় সেনার সন্ত্রাসদমন শাখার ১৫ হাজার জওয়ানকে পূর্ব লাদাখে মোতায়েন করা হয়েছে। চিনের আগ্রাসনের কড়া জবাব দিতেই এমন ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে খবর। এর পর চিনের তরফেও সক্রিয়তা শুরু হয়েছে। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে, লাদাখে সংঘর্ষের আবহে চিনের বিরুদ্ধে তিব্বতি শরণার্থীদের নিয়ে গঠিত কমান্ডো বাহিনী মোতায়েন করে ভারত। পাহাড়ি দুর্গম এলাকায় মোকাবিলার জন্য বিশেষভাবে প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত ‘স্পেশ্যাল ফ্রন্টিয়ার ফোর্স’-এর সদস্যরা। এরা প্রত্যেকেই তিব্বতি। যাঁরা কি না চিনের হাত থেকে বাঁচতে দলাই লামার পথ অনুসরণ করে ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন। ১৯৬২ সালে চিন-ভারত যুদ্ধের পর তৈরি করা হয়েছিল এই এসএফএফ। উদ্দেশ্য ছিল যেসব তিব্বতী ভারতে পালিয়ে এসেছেন, বা যাদের উঁচু পার্বত্য অঞ্চলে গেরিলা যুদ্ধের অভিজ্ঞতা ছিল, বা যারা ‘চুশি গানদ্রুক’ নামে তিব্বতের গেরিলা বাহিনীর সদস্য ছিল তাদের ভারতীয় সেনা বাহিনীতে নিয়োগ করা। গত বছর প্যাংগং লেকের পাশে চীনা বাহিনীর সঙ্গে সংঘাতে শহিদ হন এসএফএফ -এর এক তিব্বতি জওয়ানও। ভারতীয় সেনাবাহিনীর এই নিয়োগের পথকেই অনুসরন করছে এবারে চিন।

Related posts

ঘরের ভেতরে ১৫ ফুট লম্বা অজগর বসে, দেখে বাড়ির লোকেদের হাত পা ঠাণ্ডা! তারপর…

News Desk

আর চাকরিতে আসার দরকার নেই… বসের কথা শুনে ভয়ঙ্কর কান্ড ঘটালেন মহিলা কর্মচারী!

News Desk

আইফোনের জন্য ২৩ বছরের যুবক বিয়ে করলো ৫০ বছর বয়সী মহিলাকে? তারপর..

News Desk