ঘূর্ণিঝড় ইয়াস পরবর্তী প্রধানমন্ত্রীর সফর ঘিরে তৈরি হয়েছে চাপান উতর। বাংলা এবং ওড়িশা দুই রাজ্যের সাথেই বৈঠক করার কথা ছিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর। সেখানে ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পটনায়েক (Odisha CM Naveen Patnaik) তাদের রাজ্যের বৈঠকে হাজির থাকলেও পশ্চিমবঙ্গের বৈঠকে গরহাজির ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সেই ঘটনা ঘিরেই বিজেপির তরফে প্রকাশ করা হচ্ছে অসন্তোষ। তাদের বক্তব্য যখন কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ পরবর্তী ক্ষয়ক্ষতির মোকাবিলা করতে কেন্দ্র রাজ্যের এক সাথে কাজ করা উচিৎ সেই সময়ে রাজ্যের তরফে এমন অসহযোগিতা মূলক ব্যাবহারে অবাক অনেকেই। এতে করে রাজ্যের ভাগেই বঞ্চনা জুটবে অভিযোগ অনেক রাজ্যবাসীর।
প্রসঙ্গত ঘুর্ণিঝড়ের পর ওড়িশা রাজ্যের ক্ষয়ক্ষতি দেখতে এসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী, ওড়িশার পর পশ্চিমবঙ্গে আসার আগেই নবীন পটনায়ক কেন্দ্রের উদ্দেশে টুইটারে বার্তা দেন, ‘ইয়াসের পরবর্তী ওডিশায় কেমন ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তা খতিয়ে দেখতে আসার জন্যে প্রধানমন্ত্রীকে অসংখ্য ধন্যবাদ। তবে করোনা কালে এমনিতেই কেন্দ্রের উপর অনেক চাপ রয়েছে। তাই ওড়িশা রাজ্যের ক্ষতিপূরণ বা পুনর্বাসনের জন্য আলাদা করে অর্থসাহায্য চাইছি না। আমাদের কাছে যা মজুত রয়েছে, তা দিয়েই পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করব।’
এর পরেই সারা দেশের মানুষ ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রীর ভূমিকায় প্রশংসা করেন। তার উপর এদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও টুইটারে মুখ্যমন্ত্রী নবীন পটনায়কের ভুয়শী প্রশংসা করেন। তিনি লেখেন ভুবনেশ্বরে পর্যালোচনা বৈঠক খুবই ফলপ্রসূ হয়েছে। আমার একসঙ্গে কাজ করে যাব। বিপর্যয় মোকাবিলা ব্যবস্থায় ওড়িশা দারুন কাজ করছে।
সেই ক্ষেত্রে মমতার ভূমিকায় অসন্তুষ্ট অনেকেই। শুক্রবার কলাইকুন্ডায় পশ্চিম বঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী এবং দেশের প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে বৈঠক ছিল। ওই বৈঠকের জন্য মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কে আধ ঘণ্টা অপেক্ষা করিয়েছেন বলে অভিযোগ। শুধু তাই নয় বৈঠকে এসে দ্রুত চলেও যান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কেন্দ্রের সাথে এমন অসহযোগিতা করলে পশ্চিম বঙ্গের কি আখেরে কোনো লাভ আছে? প্রশ্ন রাজ্যবাসীর।