একবিংশ শতাব্দীতে মানুষ অনেক এগিয়ে গেছে। এই যুগ বিজ্ঞানের যুগ। কিন্তু তাও এখনও মানুষ অনেক ধরনের পুরানো বিশ্বাস ও কুসংস্কার আঁকড়ে ধরে রেখেছে। যতই ডিজিটাল যুগ হোক না কেন কিছু ক্ষেত্রে বিষয়গুলি আজও একই রয়ে গেছে। এর মধ্যে রয়েছে মেয়েদের এবং মহিলাদের নিয়ে বিভিন্ন রকমের ট্যাবু ও বস্তাপচা চিন্তা ভাবনা। আজও মেয়েদের অনেক নিচু মানসিকতার শিকার হতে হয়। সম্ভবত এই কারণেই আজকের যুগেও বিয়ের সময় মেয়েদের ভার্জিনিটি (Virginity) অনেক মেয়েদের জন্য চিন্তার বিষয় হয়েই রয়ে গেছে। আর এই বস্তাপচা ধারণার সুযোগ নেয় বড় কোম্পানিগুলো। এই সুযোগ নিয়ে কিছু কোম্পানি অনলাইনে প্লাস্টিক হাইমেন বিক্রী (Plastic Hymen Online Sale) করছে!
হাইমেন কী তাইনা অনেক মানুষের মনে এখনও ভ্রান্ত ধারণা আছে। হাইমেন হল একটি পর্দা যা মহিলার গোপনাঙ্গের ভিতরে থাকে। এটা খুবই পাতলা। বলা হয়ে থাকে যে যৌন মিলনের সময় এই পর্দা ফেটে যায় এবং তা থেকে রক্ত বের হতে থাকে। এটি নাকি বোঝায় যে মেয়েটি আগে কখনও যৌন মিলনে লিপ্ত হয়েছে কি না। কিন্তু আধুনিক বিজ্ঞান বলে এই পর্দা হাইমেন অন্যান্য অনেক কারণে ভেঙে যেতে পারে। অনেক সময় সাইকেল চালানোর সময়, সাঁতার কাটতে গিয়ে কিংবা নাচতে গিয়েও হাইমেন ফেটে যায় বহু মহিলার। কিন্তু বিয়ের পর যৌনতার সময় রক্তপাত হচ্ছে কিনা এটাই বহু মানুষের কাছে এখন মুখ্য বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। এমন অবস্থায় যদি কোনো মেয়ের বিয়ের পর সেক্স করার পর রক্তপাত না হয়, তাহলে সাধারণত ধরে নেওয়া হয় বিয়ের আগে মেয়েটির অন্য কারো সঙ্গে সম্পর্ক ছিল।
আর এই কারণে, বিয়ের আগে অন্য সম্পর্কে ছিল এমন অনেক মেয়েই অনলাইনে বিক্রি হওয়া এই প্লাস্টিকের হাইমেন কিনতে আগ্রহ দেখাচ্ছে। এই নকল হাইমেন প্লাস্টিকের ক্যাপসুলে পাওয়া যায়। তাদের ভেতরে রয়েছে নকল রক্ত। এই ক্যাপসুলগুলো গোপনাঙ্গের ভেতরে ঢুকিয়ে দিতে হয়। সহবাসের সময় ভিতরে চাপ পড়লে এই ক্যাপসুল ফেটে রক্ত বের হতে থাকে। যার কারণে সঙ্গীর মনে হয় মেয়েটির যৌনমিলনের পর রক্তক্ষরণ হচ্ছে, অর্থাৎ সে কুমারী।
এই নকল হাইমেন বিক্রির খবর সামনে আসতেই অনেকে এটাকে লজ্জাজনক বলেছেন। বর্তমান সময়ে যখন মানুষ নিজেকে আধুনিক বলতে শুরু করেছে, তখন এমন জিনিস কী করে বিক্রি হয় এটা ভেবেই মানুষ অবাক। এই নকল হাইমেন ভারতেও বিক্রি হত ৷ তবে ২০১৯ সালে সমালোচনার মুখে পরে অ্যামাজন এই প্রোডাক্ট সরিয়ে দিয়েছে ৷