নিয়োগ ক্ষেত্রে বিপুল দুর্নীতির অভিযোগে ইডির হাতে গ্রেফতার তৃনমূল সরকারের হেভীওয়েট নেতা পার্থ চট্টোপাধ্যায়। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এর ঘনিষ্ঠ পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee) এর গ্রেফতারির পর কোথায় মূখ্যমন্ত্রী? গতবার সিবিআই মদন মিত্র, ফিরহাদ হাকিমদের উঠিয়ে আনার পর তড়িঘড়ি তিনি হাজির হয়েছিলেন নিজাম প্যালেসে। আজ কোথায় তিনি? কি জানাচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এর ছায়া সঙ্গী, তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের?
গ্রেফতার হওয়ার পর প্রথম প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে রাজ্যের মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় সংবাদ মাধ্যমের সামনে বললেন, “নেত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করছিলাম। পাইনি।” রাতভর নাকতলায় পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বাসভবনে থাকার পর শনিবার সকালবেলাতেই তাঁকে অ্যারেস্ট করেন ইডির (Enforcement Directorate) আধিকারিকরা। মাঝে অবশ্য তাদের নিজের শারীরিক সমস্যা বোধ করার কথা জানান পার্থ। চিকিৎসকরাও সেখানে যান তাঁর শারীরিক অবস্থা পরীক্ষা করে দেখার জন্য। শেষ পর্যন্ত তাঁকে অ্যারেস্ট করার সিদ্ধান্তে অনড় থাকে থাকেন ইডি আধিকারিকরা। তাদের হাতে গ্রেফতার হওয়ার পর বাড়ি থেকে তাঁকে ইএসআই হাসপাতালে নিয়ে যায় ইডি। সেখানেই তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানো হয়। সেখান থেকে বেরোনোর সময় সংবাদমাধ্যম -এর প্রশ্নের মুখে বিস্ফোরক তৃণমূল মহাসচিব। বললেন, নেত্রীর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেছিলেন কিন্তু তাকে পাননি।
এদিকে তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের দুর্নীতিতে নাম জড়িয়ে গ্রেফতারের পর কার্যতই অস্বস্তিতে তৃণমূল। তৃণমূল এই নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছে। মমতা ব্যানার্জি থেকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, বা ফিরাদ হাকিম কেউই পার্থ চট্টোপাধ্যায় কে নিয়ে কোন কথাই বলেননি। এসএসসি দুর্নীতি নিয়ে রাজ্য সরকারের দিকে অভিযোগের আঙ্গুল বরাবরই ছিল। তাহলে কি এখন পার্থ চট্টোপাধ্যায় কে নিজেদের থেকে দূরে রেখে অস্বস্তি এড়াতে চাইছে তৃণমূল? প্রশ্ন আমজনতার।