চোখ রাঙাচ্ছে ওমিক্রন। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন ওমিক্রন এখন ভারতে ‘গোষ্ঠী সংক্রমণ’ বা ‘কমিউনিটি ট্রান্সমিশন’-এর পর্যায়ে (Community Transmission Stage Of Omicron In India) পৌঁছে গেছে। এই কারণে হাসপাতাল ও আইসিইউতে করোনা রোগী ভর্তির সংখ্যাও উল্লেখযোগ্য ভাবে বেড়েছে। সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমের এম প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে দিল্লি এবং মুম্বাইয়ের মতো শহরে গোষ্ঠী সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছে (Community Spread In Delhi & Mumbai) এবং এখানে দ্রুত করোনা কেস বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছে, সংক্রমণ ছড়াচ্ছে নতুন প্রজাতি ওমিক্রনের সাব-স্ট্রেন BA.2। আর উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো এই সাব স্ট্রেন RT-PCR টেস্টে ধরা পড়ছে না। যে কারণে ঝুঁকি বাড়ছে। সূত্র অনুযায়ী প্রথম এই সাব-স্ট্রেনটির খোঁজ পাওয়া গিয়েছিল ডেনমার্কে। তারপর ইংল্যান্ড, ভারত ইত্যাদি বেশ অনেকগুলি দেশে সংক্রমণ মাথাচাড়া দিচ্ছে এই সাব স্ট্রেন এর মাধ্যমে। 23 শে জানুয়ারি স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা প্রকাশ করেছিল যে ভারতবর্ষে গোষ্ঠী সংক্রমণ পর্যায়ে ইতিমধ্যে পৌঁছে গিয়েছে ওমিক্রন।
এছাড়াও INSACOG জানিয়েছে, করোনা আক্রান্তের ঝুঁকির ক্ষেত্রে কোনো পার্থক্য ওমিক্রনের হাত ধরে আসেনি। অর্থাৎ, ওমিক্রন ভেরিয়েন্ট থেকে ততটাই বিপদের সম্ভাবনা আছে যতটা কোভিডের বাকি ভেরিয়েন্টগুলো থেকে ছিল। অর্থাৎ ওমিক্রণ সংক্রমণকে বিপদমুক্ত হিসেবে ভাবার কোন কারণ নেই। প্রসঙ্গত এই INSACOG, কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনে একটি জিনোমিক্স কনসোর্টিয়াম। সেই INSACOG এর সর্বশেষ বুলেটিনে এমনটা বলা হয়েছে। উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, স্বাস্থ্য মন্ত্রক 2020 সালের পর ‘কমিউনিটি ট্রান্সমিশন’ শব্দটি ব্যবহার করেনি।
স্বাস্থ্য মন্ত্রকের বিশেষজ্ঞ কমিটি জানিয়েছে, ভারতে করোনা নতুন অতি সংক্রামক প্রজাতি ওমিক্রন গোষ্ঠী সংক্রমণের আকার ধারণ করে ফেলেছে, তাই এখন আর বাইরের দেশ থেকে আসা ব্যাক্তিদের মাধ্যমে থেকে এই নতুন স্ট্রেন ওমিক্রনে সংক্রমিত হওয়ার আশঙ্কা করার কোনো কারণ নেই। বরং কমিটির পরামর্শ যে করোনা সংক্রমনের হাত থেকে বাঁচতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাই বুদ্ধিমানের কাজ হবে। যেমন মাস্ক পরা, জমায়েত এড়িয়ে চলা, স্যানিটাইজারের ব্যবহার ইত্যাদি করোনার বিধিনিষেধগুলি ও ভ্যাকসিন নেওয়াই বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে কাজে আসতে পারে করোনা কে প্রতিহত করতে।
ভারতে অবশ্য টিকাকরন জোর কদমে চলছে। ইতিমধ্যেই ১৬৫ কোটির বেশি মানুষের টিকা নেওয়া হয়ে গিয়েছে। ১৫ থেকে ১৮ বছর বয়সিদের দেওয়া হচ্ছে করোনা টিকার ডোজ। বুস্টার ডোজ দেওয়া হচ্ছে কো-মর্বিডিটিযুক্ত বয়স্ক নাগরিকরা। এইভাবেই করোনা কে হারিয়ে জয় পাবে ভারত, এমনই আশা করছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।