এখন বাজারে মিলছে কাঁঠাল। কাঁঠাল খেতেও পছন্দ করেন অনেকে। প্রোটিন, ভিটামিন ও পটাসিয়ামে ভরপুর এই ফল শরীরের জন্যে ভীষণ উপকারী। তবে শুধু কাঁঠাল নয়, নানা গুণে ঠাসা কাঁঠালের বীজও। কাঁঠালের বীজের উপকারিতার কথা যদি আপনি জানতে পারেন আর কখনও সেটিকে ফেলে দেওয়ার কথা মাথাতেও আনতেন না। ভেজে খান, তরকারি তে কি ভর্তা করে, কাঁঠালের বীজের ভেতরে রয়েছে এমন সব পুষ্টিগুণ যা কাজ করবে ম্যাজিকের মতন।
প্রতি ১০০ গ্রাম কাঁঠালের বীজে থেকে পাওয়া যায় ৯৮ ক্যালরি শক্তি। এছাড়া ১০০ গ্রাম বীজে থাকে ৩৮.৪ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট , ৬.৬ গ্রাম প্রোটিন , ফাইবার ১.৫ গ্রাম, ফ্যাট ০.৪ গ্রাম, ক্যালসিয়াম পাওয়া যায় ০.০৫ থেকে ০.৫৫ মিলিগ্রাম, ফসফরাস ০.১৩ থেকে ০.২৩ মিলিগ্রাম, আয়রন থাকে ১.২ মিলিগ্রাম, সোডিয়াম ২ মিলিগ্রাম এবং পটাশিয়াম ৪.০৭ মিলিগ্রাম।
১) কাঁঠালের বীজে থাকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ। যা চোখের স্বাস্থ্যের জন্য আর সুন্দর চুলের জন্যে অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। কাঁঠালের বীজ রাতকানা রোগ প্রতিরোধ করে।
২) কাঁঠালের বীজে থাকে প্রচুর পরিমাণে আয়রন। তাই রক্তাল্পতা দূর করতে আর শরীরে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়াতে কাঁঠালের বীজ ভীষণ উপকারী। সাথে সাথে ভালো থাকে মস্তিষ্ক আর হৃদযন্ত্র।
৩) হজমশক্তি বাড়াতে ভীষণ কার্যকরী কাঁঠালের বীজ।
৪) বলিরেখা দূর করতে ও ত্বকের নানা সমস্যায় কার্যকরী কাঁঠালের বীজ। ত্বকে ময়েশ্চারের মাত্রা বাড়ায় এই ফলের বীজ।
৫) কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করতে পারে কাঁঠালের বীজ।
৬) কাঁঠালের বীজ ঠাসা প্রোটিন ও নানা মাইক্রোনিউট্রিয়েন্টসে যা মানসিক উদ্বেগ কমায় আর আপনাকে চাপ মুক্ত থাকতে সাহায্য করে। যারা টেনশন এবং নার্ভাসনেস এর সমস্যায় ভোগেন খাবারে রাখুন কাঁঠালের বীজ।
৭) কাঁঠালের বীজে রয়েছে ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালসিয়ামের মত হাড়ের গঠন ও হাড়ের জন্যে উপকারী নানা খনিজ। তাই কাঁঠাল হাড়ের মজবুতিতে বড় ভূমিকা পালন করে।