Dainik Sangbad – দৈনিক সংবাদ
Image default
স্বাস্থ্য

জ্বর হলেই প্যারাসিটামল খান? খাওয়ার আগে জেনে নিন নিয়ম-কানুন? না হলে শরীরের মারাত্বক ক্ষতি হতে পারে

বর্ষা আসতে না আসতেই ঘরে ঘরে জ্বরের ধুম পড়ে গেছে। আবহাওয়ার জন্যে অসুস্থ হচ্ছেন বহু মানুষ। কখনও লাগছে ভীষণ প্যাচপ্যাচে গরম আবার কখনও বা বৃষ্টির ঠান্ডা, সামলে চলতে না পারলেই মুশকিল। আর জ্বর এলে বা ঠান্ডা লাগলেই, সবচেয়ে প্রচলিত এবং নিরাপদ ওষুধ প্যারাসিটামল। সঙ্গে সঙ্গে প্যারাসিটামল মাথা, গা-হাত-পা ব্যথাও কমায়। অনেকেই শরীরের তাপমাত্রা কিছুটা বাড়লে বা গায়ে একটু জ্বর জ্বর ভাব দেখলেই প্যারাসিটামল খেয়ে নেন। কিন্তু চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন এই ওষুধ খাওয়ারও রয়েছে কিছু নিয়ম। সেই নিয়ম মেনে প্যারাসিটামল না খেলে দেখা দিতে পারে এই ওষুধের নানা পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া। জেনে নিন কখন খাবেন প্যারাসিটামল? আর কখন খাওয়া উচিৎ নয়।

when to have paracetamol tablet in case of fever

১) চিকিৎসকরা পরামর্শ দিচ্ছেন জ্বরের ওষুধ প্যারাসিটামল শরীরের তাপমাত্রা ১০১ ডিগ্রি ফারেনহাইটের বেশি না হওয়া পর্যন্ত না খাওয়াই ভাল। এর কারণ হিসেবে বলছে ভাইরাল ফিভার নিজের থেকেই অনেক সময় কমে যায়। প্রয়োজন শুধু বিশ্রাম আর পর্যাপ্ত জলীয় খাবার প্রয়োজন। কারণ শরীরের তাপমাত্রা বাড়লেও শরীরে জলের ঘাটতি দেখা যায়। তাই জ্বরে জলীয় খাবারের উপর জোর দিতে হবে। যেমন, গরম দুধ, ফলের রস ইত্যাদি। দেওয়া যেতে পারে ওআরএস (ORS)। প্যারাসিটামল খেতে হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

২) মাথা যন্ত্রণা, পেশির ব্যথা, গলায় ব্যথা, দাঁতের ব্যথা, পিরিয়ডস এর ব্যাথা ইত্যাদিতে প্যারাসিটামল খুবই কার্যকরী পেইন কিলার। প্রাপ্তবয়স্করা এই সব ক্ষেত্রে ৫০০ মিলিগ্রামের একটি প্যারাসিটামল ট্যাবলেট দিনে একটি বা অত্যাধিক প্রয়োজনে দুটিও খেতে হতে পারেন।

৩) চিকিত্সকরা ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ তিন থেকে চারবার প্যারাসিটামল খাওয়ারই পরামর্শ দেন। কিন্তু দেখতে হবে, ২৪ ঘণ্টায় ৪ গ্রাম বা ৪০০০ মিলিগ্রামের বেশি প্যারাসিটামল যেন শরীরে না যায়। তাতে কিডনি ও লিভারের ক্ষতির সম্ভাবনা থাকে।

৪) শিশুদের প্যারাসিটামল দেওয়ার জন্যে চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করে বয়স আর ওজন অনুযায়ী প্যারাসিটামল দেওয়ার ডোজ ঠিক করুন। শিশুদের প্যারাসিটামল নিজে নিজে ঠিক করবেন না।

৫) সুইডেনের উপসালা বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা জানিয়েছেন, গর্ভাবস্থায় চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া অতিরিক্ত প্যারাসিটামল খেলে অ্যাটেনশন ডেফিসিট হাইপার অ্যাকটিভিটি ডিসর্ডার (ADHD) বা অটিস্টিক স্পেকট্রাম ডিসর্ডার (ASD)-এর মতো স্নায়ুরোগের ঘটনা দেখা দিতে পারে।

Related posts

করোনার কারণে হোম আইসোলেশনে আছেন? হঠাৎ শ্বাসকষ্ট উঠলে কী করবেন? জেনে নিন

News Desk

ইমিউনিটি পাশাপাশি এই সমস্ত রোগ প্রতিরোধে সক্ষম, জানেন কি আমের অসামান্য গুণাগুণ

News Desk

করোনা টিকা নিতে চলেছেন। জেনে নিন আগের দিন কী খাবেন? কী খাবেন না

News Desk