পূর্ব উত্তরপ্রদেশের চান্দৌলিতে এক যুবক অপরাধ জগতে নিজের হাত পাকাপোক্ত করতে চলেছিল। কিন্তু তার আগেই পুলিশের হাতে ধরা পড়তে হলো তাঁকে। না সেই ভাবে হয়তো কোন অপরাধ সে এখনো করে উঠতে পারেনি। কিন্তু সোশ্যাল মিডিয়ার কারণে তাকে জেলে যেতে হলো। আসলে এই যুবক এক দুর্বৃত্তের সংগে এসে শোরগোল করার চেষ্টা করেছিলেন এবং সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে বন্দুক নিয়ে নিজের ছবি শেয়ার করেছিলেন। চান্দৌলি পুলিশ এই ছবি দেখতে পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই কট্টাসহ অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে জেলে পাঠানো হয়েছে।
জেলার বালুয়া থানা এলাকার বাসিন্দা নিত্যানন্দ পান্ডে নামে এক যুবক কয়েকদিন আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় আগ্নেয়াস্ত্র হাতে নিজের ছবি শেয়ার করেছিলেন। বন্দুকধারী এই যুবকের ছবি পুলিশের নজরে আসতেই তারা ওই যুবককে খুঁজতে শুরু করে। জানা গিয়েছে, এই যুবক চান্দৌলি জেলার বালুয়া থানার অন্তর্গত একটি গ্রামের বাসিন্দা।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া এই ছবিটি সাকালডিহার ডেপুটি এসপি অনিরুধ সিং এরও চোখে পড়ে, যিনি নিজে সোশ্যাল মিডিয়ায় খুব সক্রিয়। এরপর ডেপুটি এসপি অনিরুধ সিংয়ের নির্দেশে বালুয়ার এসএইচও রাজীব সিং উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে গিয়ে এই যুবককে গ্রেফতার করেন।
পুলিশ যখন তাকে ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করে, তখন জানা যায় যে এই যুবক সুনীল যাদব নামে এক আরেক অপরাধীর সংস্পর্শে এসেছিল। সুনীল যাদব তাকে নিজের বন্ধু বানানোর চেষ্টা করছিলেন।
পুলিশ হেফাজতে আসামি:
সুনীল যাদবই ওই যুবককে একটি আগ্নেয়াস্ত্র সরবরাহ করেছিলেন, যার সাথে তিনি তার ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছিলেন। কিন্তু পুলিশের তৎপরতায় নিত্যানন্দ পান্ডে নামের এই যুবক অপরাধের জগতে পা রাখার আগেই পুলিশের হাতে ধরা পড়েন। বর্তমানে পুলিশ এই যুবককে আটক করে জেল হাজতে প্রেরণ করেছে।
চান্দৌলি সাকালডিহার ডিএসপি অনিরুধ সিং জানিয়েছেন, সুনীল যাদব নামে এক কুখ্যাত ব্যক্তি জামিনে ছাড়া পেয়েছেন। নিত্যানন্দ পান্ডেকে বসিয়ে নিজের সাথে মদ পান করিয়ে, এবং হাতে দেশি কট্টা ধরিয়ে দিয়ে তাকেও অপরাধ জগতে আনার চেষ্টা করছিলেন। কিন্তু এখন নিত্যানন্দকে গ্রেফতার করে জেলে পাঠানো হয়েছে।