এক যুবক তাঁর কাছের বন্ধুর ফোন থেকে লুকিয়ে তাঁর প্রেমিকার নগ্ন ছবি নিজের ফোনে নিয়ে নেয়। যখন সেই বন্ধু বিষয়টি জানতে পারেন সে এর তীব্র প্রতিবাদ করেছিলেন। এমনকি তাঁর বন্ধুর ফোন থেকে নিজের প্রেমিকার নগ্ন ছবি মুছে দিয়ে তাঁকে চড় ও মাড়েন। আর এই ঘটনার প্রতিশোধ নিতেই ওই যুবক তাঁর বন্ধুকে বেশি পরিমানে মদ খাইয়ে দম আঁটকে হত্যা করেছেন। পুরাতন মালদা শহরের এই ঘটনায় রীতিমতো চঞ্চল্যকর সব তথ্য উঠে আসছে। আর এই খুনের দিন চারেকের মাথায় এসব তথ্য জানতে পারলো পুলিশ।
মালদহের বাইপাস রোড থেকে গত শনিবার ৫০০ মিটার দূরে ধানের খেত থেকে এক যুবকের দেহ উদ্ধার হয়। সূত্রের খবর যে ওই যুবকের নাম মহম্মদ ইব্রাহিম (২২)। তাঁকে কে খুন করলো তা নিয়ে খুন করার পর থেকে চারদিন ধরে বেশ দ্বন্দে ছিল পুলিশ। অবশেষে মহম্মদ ইব্রাহিমের তিন বন্ধুকে ওই কাণ্ডে গ্রেফতার করে পুলিশ। হবিবপুর থানার আইহো এলাকার দুই বাসিন্দা সহ ইয়াকুব শেখ এবং মালদহ শহরের গয়েশপুর এলাকার বাসিন্দা সমীর শেখকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
ধৃত দের আটক করার পর থেকে তাদের বারংবার জেরা করতেই বিভিন্ন চমকপ্রদ তথ্য উঠে আসছে। পুলিশের দাবি, প্রেমিকার সঙ্গে তাঁর অন্তরঙ্গ মুহূর্তের কিছু ছবি ইব্রাহিমের মোবাইলে ছিল। ওই ছবি কোনও ভাবে তাঁর মোবাইল থেকে হাতিয়ে নিয়েছিলেন ইয়াকুব। বিষয়টি পরে ইব্রাহিম জানতে পারে। কারণ, ওই ছবি দেখিয়ে ইয়াকুব ওই তরুণীকে ব্ল্যাকমেল করছিলেন বলে অভিযোগ। এর পর কিছু দিন আগে ইয়াকুবের মোবাইল থেকে প্রকাশ্য রাস্তায় ইব্রাহিমদের ওই ছবি মুছে দেয়। প্রকাশ্যে থাপ্পড় মারেন তিনি ইয়াকুবকে বলেও পুলিশের দাবি। ইব্রাহিমকে এর পরেই খুনের ছক কষে ধৃতরা।
পুলিশ জানিয়েছে, ইয়াকুব গত শনিবার রাতে ফোন করে ডাকেন এই অপমানের প্রতিশোধ নিতে। মাধাইপুর এলাকায় পৌঁছন ইব্রাহিম বন্ধুর ফোন পেয়ে। সেখানে ইব্রাহিমের চার চাকার গাড়িতে বসে একটি নির্জন জায়গায় সকলে মদ্যপান করেন। এর পর তাঁর মাথায় আঘাত করা হয় এবং তারপরে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়। অভিযুক্তেরা খুনের পর তাঁর দেহ ফেলে পালিয়ে যান। পুলিশ তাঁর মৃতদেহ রবিবার সকালে উদ্ধার করে।