যেকোনো বিবাহিত সম্পর্কের ভিত্তি হচ্ছে সুস্থ যৌন সম্পর্ক। স্বামী স্ত্রীর মধ্যে মানসিক সম্পর্কের মতই শারীরিক সম্পর্কও ততোটাই গুরুত্বপূর্ন। কিন্তু সব কিছুর মধ্যেই একটা ভারসাম্য থাকার প্রয়োজন। নাহলে সম্পর্ক টিকিয়ে রাখাই যেন দায়। এমনই এক ঘটনা প্রকাশ্যে এল মুম্বাই থেকে।
স্ত্রীর প্রবল যৌন উত্তেজনা নিয়ে নাজেহাল। দিনে রাতে যেকোনো সময় যৌন সঙ্গম করতে চেয়ে বাধ্য করেন সঙ্গমে লিপ্ত হতে। স্ত্রীর এই অতিরিক্ত উত্তেজনার ভার সইতে না পেরে শেষ অব্দি বিবাহবিচ্ছেদ চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন স্বামী। সম্প্রতি শুনানি হয়ে গেল এই মামলার। যুবকের স্ত্রী আদালতে হাজিরা না দেওয়ায় বিচারক স্বামীকে বিবাহবিচ্ছেদের অনুমতি দিয়ে দেয়।
নিজের পিটিশনে কি অভিযোগ এনেছেন ওই যুবক? তিনি জানিয়েছেন ২০১২ সালে তাদের বিয়ে হয়। কিন্তু বিয়ের পর থেকেই স্ত্রীর কামনা-বাসনা মেটাতে গিয়ে নাজেহাল তিনি। তাকে দিয়ে যৌন তৃপ্তি পেতে কি না করেছেন। মদ ও নানা পানীয়ের সাথে মিশিয়ে যৌন উদ্দীপনাবর্ধক ওষুধও খাওয়ানো হয়েছে ওই ব্যক্তিকে। নানা ধরনের বিকৃত যৌনাচারে বাধ্য করেছেন মহিলা তার স্বামীকে। এই সব কথাই নিজের পিটিশনে আদালতে জানিয়েছেন ওই ব্যক্তি।
আর তিনি যদি না করতে নেই সমস্ত কিছু করতে তাহলে স্ত্রী তাকে হুমকি দিতেন যে স্বামী রাজি না হলে অন্য পুরুষের সাথে যৌনতা করবেন। এমনকি পেট খারাপে ভুগলেও রেহাই মেলেনি স্ত্রী যৌন কামনার হাত থেকে। যুবকের আবেদন শুনে শুনানির তারিখ দেয় আদালত। কিন্তু সেই নির্দিষ্ট দিনে আদালতে হাজিরা না দিলে বিবাহ বিচ্ছেদের আবেদনের সীলমোহর দিয়ে দেয় আদালত। বিচারক জানান, যেহেতু ওই ব্যাক্তির স্ত্রী কোর্টে হাজির হননি, তাই পিটিশন দাখিলকারীর অভিযোগের কোনও জবাব পাওয়া যায়নি। আর তাই আদালতের পিটিশন দাখিলকারী ব্যক্তির অভিযোগ মেনে নিয়ে বিবাহবিচ্ছেদের অনুমতি দেওয়া ছাড়া আদালতের কোনো উপায় নেই।