পাঞ্জাবের মুক্তসার জেলার রঞ্জিতগড় গ্রাম থেকে এক মর্মান্তিক ঘটনার কথা সামনে এসেছে। স্ত্রীর সঙ্গে বিবাদের জেরে নিজের মাত্র ১০ মাসের একরত্তি মেয়েকে মেঝেতে ফেলে পিটিয়ে হত্যা করেছে বাবা। এই ঘটনায় মেয়ের ঠাকুরদা ঠাকুমাও ছেলেকে সমর্থন করেছেন বলে অভিযোগ। এ ঘটনায় সদর থানায় বিভিন্ন ধারায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। মেয়ের বাবা সহ বাকি অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ।
তথ্য অনুযায়ী, আম্বালা ক্যান্টে সৈনিক সতনাম সিং-এর প্রায় দেড় বছর আগে বিয়ে হয়েছিল আমনদীপ কৌরের সঙ্গে। বিয়ের কিছু সময় পরই আমনদীপের সঙ্গে সতনাম ও তার পরিবারের মধ্যে বিবাদ শুরু হয়। তারা বধূর চরিত্র নিয়ে সন্দেহ করত। কিছুদিন পর তিনি অমনদীপকে বাড়ি থেকে বের করে দেন। সে সময় তিনি গর্ভবতী ছিলেন। এদিকে বিবাহ বিচ্ছেদের জন্য আদালতে মামলা করেন সাতনাম।
কোনো উপায় না পেয়ে সেনা অফিসারদের কাছে সতনামের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন স্ত্রী আমনদীপ। সেনা কর্মকর্তারা আম্বালা ক্যান্টে তাদের দুজনের সাথে কথা বলে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করেন। এ সময় মাতৃগৃহে কন্যা সন্তানের জন্ম দেন আমনদীপ। ১২ই জুলাই অফিসাররা আবার তাদের দুজনকে ডেকে তাদের সাথে কথা বলেন। তাকে বলা হয়েছিল যে তারা যেন ২০ দিন একসাথে থাকে। তবে সতনাম ও তার পরিবারের মনোভাব বদলায়নি। তারা শিশু কন্যাকে অন্যের সন্তান বলে আমনদীপকে কটূক্তি করতে থাকে।
রবিবার সন্ধ্যায় আমনদীপের বাবা মেয়ে ও নাতনির কাপড় নিয়ে আসেন। এতে বাড়িতে অশান্তি আরও বেড়ে যায়। ঝগড়ার মধ্যেই সতনাম মেয়েটিকে আমনদীপের হাত থেকে ছিনিয়ে নিয়ে মেঝেতে পিটিয়ে হত্যা করে। থানার ইনচার্জ জগসির সিং জানিয়েছেন, মূল অভিযুক্ত সতনাম সিংয়ের বাবা সুখচাইন সিংকে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। সতনামেরও খোঁজ চলছে।