গ্র্যামি এবং অস্কার জয়, বোল্ড অ্যান্ড বিউটিফুল মার্কিন পপশিল্পী লেডি গাগা। হাস্যে, লাস্যে, সাহসী পোশাকে লেডি গাগা সদা দৃপ্ত। কিন্তু এত সাহসী শুরু থেকেই কোনোদিন ছিলেন না তিনি। ছোটো থেকেই ছিল গানের প্রতি ভালোবাসা। গানকেই জীবনসঙ্গী করার স্বপ্ন ছিল তাঁর।
কিন্তু প্রথম ধাক্কা লাগে মাত্র ১৯ বছর বয়সে সেই স্বপ্নে। তখন তিনি লেডি গাগা নন, আর পাঁচটা উঠতি সংগীতশিল্পী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের। নাম স্টেফানি। আসল নামটা কেউ আর এখন হয়তো মনে রাখেন না। কিন্তু সেই সময়ের ভয়ানক স্মৃতি আজও তাড়া করে বেড়ায় তাঁকে।
তাঁর সৃষ্টি গানগুলি পুড়িয়ে ফেলা হবে, ১৯ বছরের স্টেফানিকে প্রযোজক বলেছিলেন। পোশাক খুলতে হবে, সেগুলি যদি বাঁচাতে চান তাহলে। হ্যাঁ, পরিষ্কার ভাষায় প্রযোজক গাগাকে বিছানায় শুতে বাধ্য করেছিলেন। দিনের পর দিন গাগা ধর্ষিত হতে থাকেন। শেষে গর্ভবতী হয়ে পড়েন।
ওই ব্যক্তি অসহায় স্টেফানিকে ফেলে পালিয়ে যায়। দিনের পর দিন অত্যাচারিত হতে হতে মানসিকভাবে বিধ্বস্ত হয়ে পড়েন লেডি গাগা। দীর্ঘদিন তাঁকে একটি স্টুডিওতে বন্ধ করে রাখা হয়। সেদিনের সেই ভয়ানক স্মৃতির কথা ভেবে আজও শিউরে ওঠেন তিনি। সেই ব্যক্তির মুখ তিনি কোনোদিনও দেখতে চান না।
২০১৪ সালে এক সাক্ষাৎকারে প্রথম যৌন হেনস্থার কথা লেডি গাগা স্বীকার করেন। স্বীকার করেন ২০১৬ সালে মানসিক অসুখের শিকার হওয়ার কথা। সেসব কথাই ফের শোনা যাবে মার্কিনি ডক্যুসিরিজ ‘দ্য মি ইউ নেভার সি’-তে। ওপরা উইনফ্রে এবং প্রিন্স হ্যারি প্রযোজিত এই ডক্যুসিরিজে থাকছে বিশ্বের বিখ্যাত কিছু ব্যক্তিত্বের মানসিক এবং শারীরিক যন্ত্রণাকে জয় করার কাহিনি।
প্রথম এপিসোডেই থাকবে লেডি গাগার জীবনের অভিজ্ঞতা। শোনা যাবে প্রিন্স হ্যারি, ওপরা উইফ্রে সহ একাধিক ব্যক্তিত্বের নানা না বলা , না জানা কথাও। সম্প্রতি ট্রেলার মুক্তি পেয়েছে সিরিজের। সিরিজ পরিচালনা করেছেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন দুই পরিচালক আসিফ কাপাডিয়া এবং ডন পোর্টার। ডক্যুসিরিজ প্রস্তুতকারীদের বিশ্বাস বিশ্ব বিখ্যাত ব্যক্তিদের জীবনের লড়াইয়ের কাহিনি সাধারণ মানুষকে উৎসাহ দেবে বলে।