সেদিন জীবনে প্রথমবার স্কুলে যাওয়ার দিন! আর এই কথা মনে করেই বছর চারেকের শ্লোক মাত্রে সকাল থেকেই আনন্দে দুস্টুমি করছিলো। একতলায় থাকা দোকানেঘরেই বসেছিল সে। তখনও পাচতলার ছাদে ওঠেনি। সেখানকার এক বাসিন্দা, শ্লোকের সেদিন স্কুলে যাওয়ার কথা শুনে তাঁকে একটা চকোলেট উপহার দেয়। আর সেই চকোলেট হাতে করে নিয়েই ছাদে তাঁর পছন্দের লুকানোর জায়গায় রাখতে যায় সেটি। আর এখানে আসা যেন বিপদ ডেকে আনলো তাঁর।
মঙ্গলবার দিন শ্লোকের সেই পাঁচ তলার ছাদের খুব পছন্দের জায়গাটির একেবারে নীচে আবাসনের সামনের উঠোনে বছর চারেকের শ্লোকের মৃতদেহ পাওয়া যায়। তাঁকে সাথে সাথেই চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যেতে যায় পরিবার এবং প্রতিবেশীরা। যদিও চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন অনেকটা দেরী করে ফেলেছে তাঁকে আনতে, শ্লোক আর বেঁচে নেই।
মঙ্গলবার দিন যখন এই মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটছে ঠিক তার কিছু সময় অর্থাৎ কয়েক ঘণ্টা পরেই শিশুটির স্কুলে যাওয়ার কথা ছিল। এই মুহূর্তে ওই শিশুর মৃতদেহ ময়নাতদন্তের খাতিরে পুলিশের হেফাজতে রয়েছে। তবে পুলিশ প্রাথমিক তদন্তে এমনটাই মনে করছে যে ওই শিশুটি অর্থাৎ শ্লোক মাত্রেই , প্রথম দিন স্কুলে যাওয়ার জন্য খুব উত্তেজিত হয়েছিল আর তাই হয়তো কোনও রকমে ছাদের খোলা কার্নিসের কাছে চলে গিয়েছিল। আর সেখানে পাঁচতলার ছাদ থেকে টাল সামলাতে না পেরেই নীচে পড়ে যায়।
ঘটনাটি মুম্বইয়ের থানে এলাকার পশ্চিম পঞ্চপাখড়ি এলাকায় একটি আবাসনে ঘটেছে। বছর চারেকের ওই বালকটির পরিবার জানিয়েছে, তাকে এর আগেও বহু বার ছাদে যেতে বারণ করেছিল তার বাবা-মা। কিন্তু শোনেনি সে। তার প্রিয় লুকোনোর জায়গাই ছিল ছাদ।