Dainik Sangbad – দৈনিক সংবাদ
Image default
FEATURED ট্রেন্ডিং

আয়ার কাছে রেখে কাজে যেত বাবা-মা! সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়লো হাড়হিম করা দৃশ্য

মধ্যপ্রদেশের জব্বলপুরের মাধোতাল থানা এলাকার স্টার সিটি থেকে একটি হারহিম করে দেওয়ার মতন ঘটনা সামনে এসেছে। এখানে এক চাকুরীজীবী দম্পতি তাদের ২ বছরের সন্তানের যত্ন নেওয়ার জন্য একজন আয়া কে নিয়োগ করেছিলেন। তাকে প্রতি মাসে ৫ হাজার টাকা বেতন এবং খাবারের ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন এই দম্পতি। কথা ছিল বিনিময়ে তাদের একরত্তি শিশুর দেখাশুনা করতে হবে। কিন্তু বাস্তবে দেখা গেল বিশ্বাস করে এই দায়িত্ব যার উপর দেওয়া হয়েছিল সে ওইটুকু শিশুর সাথে যা আচরণ করছিল তা কোনো মানুষ করতে পারে কিনা সন্দেহ আছে। আয়া কে রাখার কয়েকদিন পর থেকে শিশুটির শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে দেখে বাবা-মায়ের সন্দেহ হলে তারা ঘরে সিসিটিভি লাগিয়ে দেন, এরপর সিসিটিভির ফুটেজে যা চোখে পড়ে তা তাদের রক্ত জল করে দেয়।

সূত্র অনুযায়ী, জবলপুরে প্রায় ৪ মাস আগে, একটি পরিবার দুই বছরের একটি শিশুর দেখাশোনার জন্য চমন নগরের বাসিন্দা রজনী চৌধুরীকে ভাড়া করে। মা বাবা দুজনেই চাকরি করেন। বাড়িতে কেউ ছিল না ২ বছরের শিশুটির যত্ন নেওয়ার জন্য। আয়ার অ্যাপয়েন্টমেন্টের পর সকাল ১১টায় বাবা-মা তার জন্য খাবার তৈরি করে কাজে যেতেন। এর পরই শুরু হয়ে যেত দুই বছরের শিশুর ওপর রজনী চৌধুরীর থার্ড ডিগ্রি। সন্তানের শারীরিক অবস্থার অবনতি দেখে অভিভাবকরা রজনীর আচরণে সন্দেহ করেন। তারা ঘরে সিসিটিভি লাগিয়ে দেন।

কয়েকদিন আগে শিশুটিকে খুবই দুর্বল মনে হওয়ায় চিকিৎসকের কাছে নিয়ে গিয়ে পরীক্ষা করা হলে চিকিৎসক শিশুটির অন্ত্রে ফুলে যাওয়ার কথা জানান। শিশু এমন হওয়ার পেছনে কোনো ধরনের নির্যাতনের আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি। অভিভাবকরা বাড়িতে স্থাপিত সিসিটিভি ক্যামেরা চেক করলে, শিশুর সঙ্গে আয়া রজনী চৌধুরীর করা নিষ্ঠুরতা ও লাঞ্ছনার ছবি দেখে তারা ভয়ভীত হয়ে পড়েন।

এই ঘটনার পরে, শিশুটির বাবা মা অবিলম্বে মাধোতাল থানায় রজনী চৌধুরীর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেন, যার পরে পুলিশ রজনী চৌধুরীর বাড়িতে গিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে। এএসপি সঞ্জয় আগরওয়াল বলেছেন যে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে পুলিশ আটক করেছে এবং ৩০৮ ধারায় মামলা নথিভুক্ত করার পরে তাকে জেলে পাঠানো হয়েছে।

উল্লেখ্য যে শহরগুলোতে নিউক্লিয়ার ফ্যামিলি বাড়ছে সেই সমস্ত জায়গায় কর্মজীবী স্বামী-স্ত্রী প্রায়ই আয়া বা বাইকে বাচ্চাদের দেখাশোনার জন্য রাখে, কিন্তু রজনীর মতো কাউকে রাখা শিশুদের জন্য খুবই বিপজ্জনক হতে পারে। শিশুটির বাবা-মা তাকে চিকিৎসা করাচ্ছেন।

Related posts

আনন্দ নয়, দুর্গাপুজোর সময় শোকে কাতর হন ‘মহিষাসুরের বংশধর’ এই অসুর সম্প্রদায়ের মানুষেরা

News Desk

ক্রিসমাস মানেই সান্তা ক্লজ! বাস্তবে কি সান্তা ক্লজ রয়েছে? জানুন এর নেপথ্যের অজানা কাহিনী

News Desk

ফের ভূমিকম্প রাজধানীতে! আতঙ্ক দিল্লিজুড়ে, রাস্তায় নেমে এলো মানুষ

News Desk