বর্ষাকাল মানেই শুধু আকাশ কালো করে বৃষ্টি নয় একইসাথে আসে অনেক ধরনের অসুখের প্রকোপ। বর্তমানে তার উপর করোনার প্রকোপে নাজেহাল সাধারণ জনজীবন। একই সাথে আবার বর্ষাকালে রয়েছে নানা ধরনের রোগ ব্যাধির সম্ভাবনা , কেননা সক্রিয় হয়ে ওঠে রোগ জীবাণু। তাই বর্ষাকালে খাওয়া-দাওয়ার দিকে আমাদের সঠিক ভাবে নজর দেওয়া প্রয়োজনীয়। তাই বর্ষায় এই ৭টি মরশুমি ফল রাখুন খাদ্য তালিকায় যাতে কোনও রোগ কাছে ঘেঁষবে না।
আলু বোখরা -আলু বখরা আপনার শরীরে আয়রনের গাটতি পূরণ করে। ভিটামিন সি পাওয়া যায় প্রচুর পরিমাণে। হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়িয়ে রক্তে অ্যানিমিয়া বা রক্তাল্পতা রোগ দূরে রাখে। আলু বোখরা প্রচুর পরিমাণে মিনারেল সমৃদ্ধ ক্যানসার প্রতিরোধ করতেও সাহায্য করে।
চেরি – চেরিতে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায় । যা সাহায্য করে শরীরের ক্ষতিকারক টক্সিন দূর করতে। চেরি হার্টের জন্যেও ভীষণ উপকারী। কম করে শরীরে ক্ষতিকারক কোলেস্টেরলের মাত্রা এবং সাহায্য করে ক্যানসার প্রতিরোধ করতেও।
পিচ – শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার জন্য ভিটামিন এ, বি, সি এভং ক্যারোটিনযুক্ত পিচ ভীষণ উপকারী। চোখ এবং ত্বকের নানা সমস্যা দূর করতে, ফাইবারের উচ্চমাত্রা থাকার কারণে পিচ ভীষণ সহায়ক ওজন কমাতেও।
নাশপাতি – নাশপাতি নানা রকম ভিটামিনে ভরপুর শরীরের নানা সংক্রমণ রোধ করতে সাহায্য করে। হিউমিডিটির মাত্রা বর্ষায় অনেকটাই বেড়ে যায়, যার ফলে এই সময় নানা রোগ ব্যাধী দেখা যায়। নাশপাতি
সাহায্য করে সমস্ত মরশুমি রোগের সঙ্গে লড়তে।
কালো জাম – জাম আপনার শরীরের পক্ষে ভীষণ উপকারী। সক্রিয় ভাবে ব্লাড সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। জামে কম থাকে ক্যালোরির মাত্রা। তাছাড়া এই জাম আয়রন, ফোলেট, পটাসিয়াম এবং নানা রকম ভিটামিন সমৃদ্ধ।
ডালিম – ডালিমকে গণ্য করা হয় সবচেয়ে উপকারী ফলের মধ্যে। ডালিম সর্দি-কাশি, ফ্লু-এর মতো রোগ থেকে রক্ষা করে। প্রচুর অ্যান্টি অক্সিডেন্টও ডালিমে পাওয়া যায়, যার ফলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করে। পেটের পক্ষে এবং অন্ত্রের ক্যানসার রোধ করতে ডালিমের রস সাহায্য করে।
পেপে – পেঁপে তে প্রচুর পরিমানে ফাইবার থাকে। তার সঙ্গে ভিটামিন সি এবং অ্যান্টি অক্সিডেন্টে ভরপুর পেপে নিয়ন্ত্রণ করে কোলেস্টেরল, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি করে। নানা রকম পেটের সমস্যা দূরে থাকে রোজ পেপে খেলে।