করোনার সময়ে চিকিৎসকরা বার বার মনে করিয়ে দিচ্ছেন দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর কথা। আর যাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম তাদের জন্য ভিটামিন ডি খুবই উপকারী। গবেষণায় দেখা গেছে, ভিটামিন ডি শরীরে বাড়লে রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেক গুণেই বেড়ে যায়। মানুষের শরীরে নানা চাহিদা পূরণে যেকোনও ভিটামিনই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। কিন্তু রোগ-প্রতিরোধের ক্ষমতা বাড়াতে সমস্ত ভিটামিনের মধ্যে ভিটামিন ডি এগিয়ে রয়েছে সব চেয়ে বেশি। শুধু রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিই নয়, শরীরে ভিটামিন ডি-এর অভাব দেখা দিলে সেখান থেকে শরীরের নানা সমস্যা শুরু হয়ে যায়। এই ভিটামিন ভালো রাখে হাড় ও পেশির স্বাস্থ্য, শিশুদের রিকেট রোগ, বড়দের অস্টিওমিলেশিয়া। বয়স্কদের হাড়জনিত ক্ষয় রোধ করতে এই ভিটামিনের বিরাট ভূমিকা আছে। তাই করোনার হাত থেকে বাঁচতে প্রাকৃতিক উপায়ে কীভাবে ভিটামিন ডি-র ঘাটতি পূরণ করতে পারবেন, জেনে নিন বিশদে।
ভিটামিন ডি-এর সবচেয়ে বড় উৎস হল সূর্যের আলো। কিন্তু করোনার কারণে অনেকেই বাইরে বেরোচ্ছেন না। সকালের শুরুতে আর বিকাল বেলায় অবশ্যই খানিকক্ষণ খোলা জানলার ধারে বা বারান্দায় সময় কাটান। বয়স্কদেরও উচিৎ শরীরে একটু রোদ লাগানো। যদি ঘরে একেবারেই রোদ না পড়ে তাহলে সকালে আর বিকেলে ছাতে কিছুক্ষণ হাঁটুন হাঁটাহাঁটি করুন। মিনিট ১৫ এভাবে হাঁটলেই তৈরী হবে ভিটামিন ডি। ভালোও লাগবে ভিতর থেকে, কেটে যাবে মনখারাপও।
ডায়েটে রাখুন ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ খাবার, যেমন, তৈলাক্ত মাছ, টুনা, দুধ-সোয়ামিল্ক, ডিম, ডিমের কুসুম, কমলালেবু, চিজ, মাশরুম, কড লিভার অয়েল, মাংসের মেটে ইত্যাদি। ভিটামিন ডি আছে এমন খাবার না খেলে বা কম খেলে সমস্যা হতে পারে। সমস্যা হয় ওজন কমানোর কারণে ফ্যাটসমৃদ্ধ খাবার ছেড়ে দিলে। কারণ ভিটামিন ডি ফ্যাটে দ্রবীভূত হয়েই শরীরে প্রবেশ করে।
কর্ড লিভার অয়েল ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ। মাছের লিভার থেকে সংগ্রহ করা এই তেল যদি গায়ে মাসাজ করা যায়, তাহলে ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি কমতে পারে। হাড়ের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে এবং মাসল জযেন্ট পেন কমাতেও এই তেল বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।
যদি প্রাকৃতিক উপায়ে ভিটামিন ‘ এর ঘাটতি না পূরণ হয় তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ মতন ভিটামিন ‘ডি’ সাপ্লিমেন্ট খেতে পারেন। তবে ভিটামিন ডি যেহেতু ফ্যাটে দ্রবীভূত হয়, তাই দুপুর বা রাতের খাবার খাওয়ার পরে খাওয়া উচিত।