ভেতরে ভেতরে জ্বর আসলে জ্বরঠোসা হয় অনেকেই ভাবেন। কিংবা জ্বরঠোসা হয় ঠাণ্ডা লাগলেও। তবে এ ব্যাপারে ভিন্ন মত চিকিৎসকদের। তাদের মতে একগুচ্ছ ফুসকুড়ি কিংবা কোনও ঠোঁটের কোণায় কারণে ঘা হলে তাকে বলে জ্বরঠোসা। চিকিৎসা পরিভাষায় একে বলা হয় ফিভার ব্লিস্টার। ঘা হয় ফুসকুড়ি ওঠার ২ থেকে ৩ দিনের মধ্যে। অনেক সময় ঘা হয়ে ব্যাথা হয়, রসও গড়ায়। এই ব্লিস্টারে ব্যথা হলে তাকে কোল্ড সোর বলা হয় । শীতকালে জ্বরঠোসা একটু বেশিই দেখা যায়। বিশেষজ্ঞরা বলেন, ছোঁয়াচে জ্বর ঠোসা। জ্বর ঠোসা সারতেও আর সময় লাগে। কেউ কেউ বলেন জ্বর ঠোসা হয় ভিটামিনের অভাবেই।
জ্বরঠোসার লক্ষণ
ব্যথা, বমিভাব কিংবা বমি, মাথাব্যথা, ঠোটের কোণে, বর্ডারে বা বর্ডারের আশেপাশে গুচ্ছবদ্ধ ফুসকুড়ি, জ্বর। সেই সঙ্গে ঠোঁটে জ্বালা করা, খেতে অসুবিধা, ঠোঁট বারবার শুকনো হয়ে যাওয়া ইত্যাদি।
জ্বরঠোসা সারার উপায়
এইচএসভি-১ ইনফেকশন জ্বরঠোসা বা ফিভার ব্লিস্টারের কারণ। জ্বর এই ইনফেকশনের কারণেই আসে! তবে হ্যাঁ, ফিভার ব্লিস্টার হতে পারে জ্বরের কারণেও যদি সেই জ্বর অন্য কোন ইনফেকশনের কারণে হয় যা দুর্বল করে দেয় শরীরের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতাকে। আবার জ্বরঠোসা হয় কিন্তু ভিটামিন সি আর ডি এর অভাবেও।
প্রতিকারের উপায়
তবে কারণ যাই হোক না কেন জ্বরঠোসার, জেনে নিন দ্রুত সারানোর কয়েকটি ঘরোয়া উপায় বিরক্তিকর, যন্ত্রণাদায়ক জ্বর ঠোসার…
বরফ
যে জায়গায় ঘা হয়েছে একদম খুঁটবেন না সেই জায়গা নখ দিয়ে। বরং ব্যথা কমবে বরফ দিয়ে চেপে ধরলে। অন্য কোনও সমস্যা থাকবে না সংক্রমণের। তবে, কোনও টাওয়ালে চেপে লাগাতে হবে বরফ সরাসরি নয়। মিনিট পাঁচ চেপে রাখুন। এভাবে করতে হবে ১৫ মিনিট ধরে । বরফ সরাসরি লাগাবেন না কোনও ব্যথাতেই।
মধু
৫ থেকে ১০ মিনিট ক্ষতস্থানে অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল সমৃদ্ধ মধু লাগিয়ে রাখুন। অন্তত দিনে দুবার ব্যবহার করুন। দেখবেন, দ্রুত সেরে যাবে জ্বর ঠোসা।
লেমন এসেন্সিয়াল অয়েল
এমন এসেন্সিয়াল অয়েল লেবুতে রয়েছে, তা তুলো দিয়ে চেপে চেপে লাগাতে হবে ক্ষতস্থানে। এরপর অয়েন্টমেন্ট জাতীয় কিছু ওখানে লাগিয়ে নিন।
রসুন
রসুন বেশি করে খাবেন এরকম সমস্যা বেশি হলে। প্রতিদিন রসুন আর কাঁচামরিচ ভেজে খান গরম ভাতে। খেতে পারেন রসুনের আচারও। কিংবা খেতে পারেন কাঁচা রসুনও । এছাড়াও ক্ষতস্থানে রসুনের কোয়া বেটে নিয়ে লাগালেও ভালো ফল পাবেন।
টি ট্রি অয়েল
টি ট্রি অয়েল খুবই উপকারী মুখের যে কোনও সমস্যায়। মুখ, ত্বক ভালো রাখে এই অয়েল। তেমনই রক্ষা করে যে কোনও ইনফেকশন থেকেও। জ্বর ঠোসায় লাগান অ্যান্টি ভাইরাল উপাদান সমৃদ্ধ টি ট্রি অয়েল তুলোয় নিয়ে। দিনে বেশ কয়েকবার লাগান আর সেরে উঠুন ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকিয়ে।
অ্যাপেল সিডার ভিনিগার
জ্বর ঠোসার ওপরে সুতির কাপড় অ্যাপেল সিডার ভিনিগার ভিজিয়ে লাগান। দেখবেন উপকার পাবেন দ্রুত।