আমরা যে সমস্ত অভিজ্ঞতা অর্জন করি সারা জীবন ধরে, আমরা তার সবকিছুই মনে রাখতে পারি না। যত সময় যেতে থাকে কোনো অভিজ্ঞতা অর্জনের পর বা কোনো কিছু শেখার পর, ততই আমরা ভুলে যেতে থাকি আগেকার সংরক্ষিত বিষয় বা তথ্যগুলি। একেই বলে বিস্মৃতি। স্মৃতির যেমন প্রয়োজন আছে,প্রয়োজন আছে বিস্মৃতির ও সেইরূপ ।
১)ভুলে যাওয়া কেন প্রয়োজন
মানসিক শক্তি সীমাবদ্ধ আমাদের। অজস্র বিষয়বস্তুকে মনের পক্ষে মনে রাখা সম্ভব নয়। কাজেই অনাবশ্যক ও অপ্রয়োজনীয় বিষয় যদি ভুলে না যাই, তবে মনে রাখা সম্ভব নয় প্রয়োজনীয়, নতুন বিষয়। বিস্মৃতি প্রয়োজনীয় বিষয় মনে রাখতে সাহায্য করে, এই অনাবশ্যক অপ্রয়োজনীয় বিষয়কে মন থেকে দূরে সরিয়ে দিয়ে।
২) আমরা যদি ভুল জিনিস অসতর্কতাবশত শিখে ফেলি কোনো সময়, সেগুলো আমরা যদি না ভুলি তবে সঠিক বিষয়গুলি সেগুলির বদলে শেখার ক্ষেত্রে অসুবিধা দেখা দিতে পারে।
৩) তৃপ্তিদায়ক নয় আমাদের জীবনের সব অভিজ্ঞতাই। এমন অনেক বেদনাদায়ক অভিজ্ঞতা আছে। যেমন প্রিয়জনের মৃত্যু, কর্মে ব্যর্থতা ইত্যাদি। এই অভিজ্ঞতাগুলো আমরা যদি ধীরে ধীরে ভুলে না যাই তাহলে আমাদের জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠবে।
৪) কিছু কিছু ক্ষেত্রে বিস্তৃতি একটি ইচ্ছা মূলক প্রক্রিয়া, মনঃসমীক্ষণবীদ ফ্রয়েডের মতে। আমরা মনে ভুলে যাই রাখতে চাই না বলেই। মোটিভেটেড ফরগেটিং ফ্রয়েড এর নাম দিয়েছেন। আপনি যখন কাউকে মনে করে কোন জিনিস আনতে বলেন, এবং বারংবার তিনি না এনে বলেন যে, ‘আমি ভুলে গেছি’, হতে পারে সেটা দিতে চাইছেন না তিনি আপনাকে এবং সেই কারণেই ভুলে যাচ্ছেন। গোটা প্রক্রিয়াটা কিন্তু অবচেতন স্তরে চলে।