বেশিরভাগ বাঙালি মধ্যবিত্তরাই দূরে বেড়াতে গেলে ট্রেনে চেপে যান । কিন্তু এই দম্পতি ঘুরতে গিয়ে ট্রেনে এমন অবস্থার সম্মুখীন হবে স্বপ্নেও ভাবেননি । বিপদে পড়ে রেলওয়ে হেল্প লাইনে ফোন করেও কোন সুরাহা মিলেনি । ভারতের রেলের এক্সপ্রেস ট্রেনের সুরক্ষা নিয়ে বারবার প্রশ্ন ওঠে এক্ষেত্রেও আবারো একবার প্রশ্ন উঠল ট্রেনের সুরক্ষা নিয়ে । হুগলির চন্দননগর (Chandannagar) সুখসনাতনতলার একটি আবাসনের বাসিন্দা জালিম সিংহ রায় ও তাঁর স্ত্রী কাবেরী সিংহ রায় গত ১১ই মার্চ গোয়া (Goa) বেড়াতে গিয়েছিলেন। তাঁরা ভাস্কো দা গামা-শালিমার এক্সপ্রেসে ওঠেন ২২ মার্চ গোয়া থেকে বাড়ি ফেরার জন্য। ওড়িশার খুরদা স্টেশন আসতেই দম্পতি মহা বিপদে পড়ে যান।
ভিখারি সেজে তাঁর কাছে ভিক্ষা চেয়েছিলেন একজন বলে জালিম সিংহ রায়ের অভিযোগ। তখন তার স্ত্রী ঘুমিয়ে পড়েছিলেন। কিছু শারীরিক সমস্যার দরুন তিনি শৌচাগারে গিয়েছিলেন, সেই সুযোগেই ওই ভিখারি রুপী দুষ্কৃতী। ওই দম্পতির ব্যাগ নিয়ে ট্রেনে থেকে নেমে যায় ওই ভিখারি জালিমবাবুর অনুপস্থিতি সুযোগ নিয়ে। ব্যাগে গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্রও ছিল টাকার পাশাপাশি। কাবেরী দেবী অন্যান্য যাত্রীর চিৎকার করতে ঘুম থেকে উঠে ওই চোরের পিছনে ধাওয়া করেন। কিন্তু তাঁকে স্বাভাবিকভাবে ধরা সম্ভব হয়নি। ওই দম্পতি আরপিএফের হেল্পলাইন নম্বরে খোয়া যাওয়া ব্যাগ উদ্ধারে ফোন করে। রেল পুলিশ ঘটনাস্থলে ফোন পেয়ে এলেও খোওয়া যাওয়া ব্যাগ উদ্ধার হয়নি।
স্বাভাবিক ভাবেই ট্রেনের সুরক্ষা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। জালিমবাবুর প্রশ্ন, “ ভাড়া বেড়েছে রেলের। সেই ভাড়া দিয়ে আমরা ট্রেনের টিকিট কেটে ঘুরতে গিয়েছিলাম। নিরাপত্তার লেশমাত্র নেই রিজার্ভেশন কামরাতেও। যদি তখন আমি শৌচাগারে না থাকতাম তবে ও চোরকে বাধা দিতাম। তবে ওই চোরের কাছে অস্ত্র ছিল আমি নিশ্চিত। আমার প্রাণহানির আশঙ্কাও ছিল বাধা দিলে।” ঘোরতর সমস্যার মুখোমুখি ওই দম্পতি টাকার পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ নথি হারিয়ে। তারা রেলের কাছে সুরক্ষা বাড়াতে আবেদন করেছে না হলে তাদের মতো আরও অনেকেরই এই সমস্যায় পড়তে হবে।