Dainik Sangbad – দৈনিক সংবাদ
Image default
FEATURED ট্রেন্ডিং

৫৩ বছরের মা প্রেমে পড়লেন, বিয়েও করলেন। এই কারণে সোশ্যাল মিডিয়ায় এসে ছেলে যা বললো

একটি ছেলে তার ৫৩ বছর বয়সী মায়ের জন্য সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি বিশেষ পোস্ট করেছেন। ওই মহিলা দ্বিতীয় বার প্রেমে পড়েন নিজের প্রৌঢ় বয়সে এসে। এখানেই থেমে না থেকে বিয়েও সেরে ফেলেন। এরপরই সোশ্যাল মিডিয়ায় কিছু পোস্ট করেন তার ছেলে।

আসলে, ওই মহিলা ২০১৩ সালে নিজের ৪৪ বছর বয়সে তার স্বামীকে হারিয়েছিলেন। এর পর তিনি ক্যান্সারেও ভুগছিলেন। করোনাও ঘায়েল করেছিল তাকে। ছেলে বাইরে থাকতো আর মাকে একা থাকতে হতো ভারতে। সমস্ত অসুবিধা সত্ত্বেও, মহিলাটি সাহস হারাননি এবং গত বছর তিনি এমন একজন ব্যক্তির প্রেমে পড়েছিলেন যাকে তিনি বিয়ে করে নেন।

মহিলাটি ক্যান্সার এবং ডিপ্রেসনের মতো সমস্যায় ভুগলেও তিনি কখনো আশা হারাননি। মহিলার ছেলে জিমিত গান্ধী লিঙ্কডিনে তাঁর মায়ের আবেগময় কাহিনী বর্ণনা করেছেন, যা ইউজাররা ভাইরাল করে দিয়েছে। নেটিজনরা জিমিতের পোস্টের প্রশংসা করেছেন। লিঙ্কডিন প্রোফাইল অনুসারে, জিমিত গান্ধী রিফিনিটিভ নামে একটি কোম্পানিতে সেলস এবং অ্যাকাউন্ট ম্যানেজমেন্টের কাজ দেখাশোনা করেন এবং দুবাইতে থাকেন।

ভাইরাল পোস্টে যা লেখা আছে:

জিমিত গান্ধী তার পোস্টে তার মাকে ‘যোদ্ধা’ উপাধি দিয়ে সম্মানিত করেছেন।

তিনি যে পোস্ট লিখেছেন তার উদ্ধৃতি কি? জানুন! জিমিত লিখেছেন, ‘সে তার স্বামীকে ২০১৩ সালে হারিয়েছে। তখন তার বয়স ছিল ৪৪ বছর। ২০১৯ সালে, তিনি স্টেজ থ্রি স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত হন, তারপর দুই বছর ধরে বেশ কয়েকবার কেমোথেরাপি করা হয়। দুই বছর পর তিনি আবার সুস্থ হয়ে ওঠেন। ক্যান্সারের চিকিৎসার সময় তার ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট করোনা ধরা পড়ে। এই সময়ে, তিনি হতাশা এবং ক্যান্সার উভয়তে ভুগলেও কিছুতেই তিনি হাল ছাড়েননি। তিনি ৫২ বছর বয়সে আবার প্রেমে পড়েন। এখন তারা সমাজের প্রচলিত ধ্যান ধারণা ভেঙ্গে বিয়ে করেছেন এবং ভারতীয় সমাজে প্রচলিত অনেক নিষেধাজ্ঞার অবসানও ঘটিয়েছে। তিনি একজন যোদ্ধা এবং তিনি আমার মা।’

১৪ ফেব্রুয়ারি বিয়ে:

জিমিত তার পোস্টে আরও লিখেছেন যে আমার প্রজন্মের সমস্ত মানুষ শুনুন, যদি আপনারও বাবা-মা একা রয়েছেন তবে তাদের সাহায্য করুন। যদি তিনি একজন সঙ্গী খুঁজে পেতে চান, তাহলে তাকে সমর্থন করুন,” জিমিত ‘হিন্দুস্তান টাইমস’-এর সাথে কথা বলার সময় বলেছিলেন যে তার মা প্রাথমিকভাবে তাদের সম্পর্কের বিষয়ে সকলের সামনে আনতে দ্বিধা বোধ করেছিলেন। কিন্তু সেই সব দ্বিধাদ্বন্দ্ব ত্যাগ করে তিনি জীবনে এগিয়ে গিয়েছেন। সকলে ছেলের এমন চিন্তাধারার প্রশংসা করছে।

Related posts

অরুণাচল প্রদেশের যুবকদের চীনের পিপল লিবারেশন আর্মি-তে নিয়োগ করতে চাইছে চীনা সরকার

News Desk

অলিম্পিকে সাফল্যের পিছনে নিয়মিত সেক্স! চাঞ্চল্যকর দাবি ৩বার অলিম্পিকে সোনাজয়ী সাঁতারুর

News Desk

স্নানঘরে বসে স্কুলছাত্রীকে হোমওয়ার্ক করে ছবি পাঠাতে বললেন শিক্ষক! না বলায় টিসি

News Desk