বিয়ে নিয়ে পীড়াপীড়িতে অটল বাগদত্তা। এদিকে পাত্র নারাজ। কিন্তু শেষ অবধি প্রেমকে পরিণতি দিতে নিজের ভাইকে নিয়ে প্রেমিককে অপহরণের ভয়ঙ্কর ষড়যন্ত্র করে এক তরুণী। সৌভাগ্যক্রমে, পুলিশ মাত্র ৪ ঘন্টার মধ্যে বিষয়টি সমাধান করে এবং অভিযুক্ত তরুণী সমেত দুই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে এবং তাদের আটক করে। উল্লেখযোগ্য যে গত ২০২১ সালের ১৪ই মে, স্টেনো অঙ্কুর কুমার পরিবারের সদস্যদের সম্মতিতেই প্রিয়াঙ্কা নামক ওই তরুণীর সাথে বাগদান করেছিলেন। অঙ্কুর এবং প্রিয়াঙ্কা দুজনেই ফোনে কথা বলত, কিন্তু এর মধ্যেই অঙ্কুর প্রিয়াঙ্কার কিছু বিষয়ে রেগে যায়, যার কারণে অঙ্কুর এই সম্পর্ক প্রত্যাখ্যান করে। কিন্তু প্রিয়াঙ্কা তার ভালোবাসা অঙ্কুরকে কোনো মূল্যে হারাতে চাননি। সেই কারণে ভালোবাসার মানুষকে যেন তেন প্রকারেন বিয়ে করতে চায় সে। তাই প্রিয়াঙ্কা তার ভাইকে নিয়ে অঙ্কুরকে অপহরণের ষড়যন্ত্র করে।
![](https://dainiksangbad.com/wp-content/uploads/2022/07/IMG-20220711-WA0009-1024x542.jpg)
এর মধ্যেই চাঁদপুরের সিভিল জজ জুডিশিয়ালে পদায়নরত স্টেনো অঙ্কুর বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে বিজনোর ইউপির সায়াউ এলাকায় বাড়ি থেকে বাইকে করে ডিউটি করতে যাচ্ছিলেন। যাওয়ার সময়ই বাগদত্তা প্রিয়াঙ্কা তার ভাইকে সঙ্গে নিয়ে অপহরণের ঘটনা ঘটান। অভিযুক্তরা অঙ্কুরকে গান পয়েন্টে রেখে অপহরণ করে, কিন্তু পুলিশ অফিসারদের তৎপরতার কারণে মাত্র চার ঘণ্টার মধ্যে অপহরণের ঘটনা ফাঁস হয়ে যায়।
বিয়ে প্রত্যাখ্যান করায় নেওয়া হয়েছে এমন পদক্ষেপ:
আসলে প্রেমিককে বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ করতে অস্থির ছিলেন প্রিয়াঙ্কা। অঙ্কুর প্রিয়াঙ্কাকে বিয়ে করতে অস্বীকার করলে সে অপহরণের ষড়যন্ত্র করে। অপহরণের পরিকল্পনার মূল কারণ ছিল সে অঙ্কুরকে জোর করে মন্দিরে নিয়ে বিয়ে করতে চেয়েছিল। কিন্তু পুলিশের তৎপরতার জোর করে বিয়ে করার চেষ্টা ব্যর্থ হয়।
মেয়েটি জোর করে বিয়ের চেষ্টা করছিল:
উল্লেখযোগ্যভাবে, বিজনোর পুলিশ প্রিয়াঙ্কা, তার ভাই এবং তার বন্ধুকে গ্রেফতার করেছে। তিনজনই অঙ্কুরকে অপহরণের অভিযোগে অভিযুক্ত। অপহরণকারীদের খপ্পর থেকে মুক্ত হওয়ার পর অঙ্কুর জানায়, তারা জোর করে মন্দিরে বিয়ে করানোর চেষ্টা করছিল। বিয়ে না করলে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। যে কোনো মূল্যে বিয়ে করতে চেয়েছিলেন প্রিয়াঙ্কা। বিয়েতে এম দম্পতিকেও সঙ্গে নিয়ে এসেছিলেন প্রিয়াঙ্কা।