দেখতে আর পাঁচটা সাধারন পায়রার মতই। তবে দেখতে অতি সাধারণ হলে কি হবে, এই পায়রার দাম শুনলে চোখ কপালে উঠবে। ভারতীয় টাকায় এই পায়রার দাম ১৫ কোটি টাকার কাছাকাছি। বেলজিয়ামে হ্যালে পিপা পেইজান সেন্টারে অনুষ্ঠিত এক নিলামে এই পায়রার দাম উঠেছিল ১.৯ মিলিয়ন ডলার বা ভারতীয় টাকায় যা ১৫ কোটি প্রায়।
শুনে ভাবছেন নিশ্চয় একটি পায়রায় এত দাম কেন? আসলে চেহারা যতই সাধারণ হোক, এর ক্ষমতা অসাধারণ। এই স্ত্রী পায়রাটি আসলে একটি রেসিং পায়রা। বয়স বছর দুয়েক। পায়রাটির নাম নিউ কিম। বেলজিয়ামে অনুষ্ঠিত এক অনলাইনে নিলামে গত বছর এই দাম হেঁকে পায়রাটি কিনে নিয়েছেন চীনের এক ব্যক্তি। নিলামে নিউ কিমের দাম রাখা হয়েছিল মাত্র ২০০ ইউরো। কিন্তু নিলামে দর হাকাহাকি শেষে তার দাম উঠেছে ১৬ লক্ষ ইউরো বা ১৯ লক্ষ ডলার। পিপা-র চেয়ারম্যান নিকোলাস গিসেলব্রেচ এই নিয়ে বলেছিলেন, ‘‘আমার মনে হয় এটা বিশ্ব রেকর্ড।
এই বিশেষ প্রজাতির পায়রার বিশেষত্ব হল ওড়ার প্রতিযোগিতায় ভাগ নেওয়া। সাধারণত রেসে অংশগ্রহণকারী পায়রাগুলোকে বেশ দূরত্বের কোনো স্থানে ছেড়ে দেওয়া হয়। সেখান থেকে যে পায়রা সবচেয়ে আগে উড়ে নির্দিষ্ট স্থানে ফিরে আসতে পারবে সে বিজয়ী। মোটা অঙ্কের টাকা জিতবেন অংশ নেওয়া পায়রার মালিক।
নিলামে নিউ কিমের যে দাম উঠেছে, এটি ছিল রেসের পায়রা বিক্রির ক্ষেত্রে রেকর্ড। নিউ কিম ২০১৮-য় জিতেছিল ‘এস পিজিয়ন প্রতিযোগিতা যা তাকে পায়রার প্রতিযোগিতায় সুনাম এনে দেয়। এর পর থেকে বেশ কয়েকটি প্রতিযোগিতায় সে জিতেছে এবং অবশেষে অবসরে গেছে। অবসর নেওয়ার পর বেশ কয়েকটি ছানারও জন্ম দিয়েছে সে।
নিউ কিম স্ত্রী পায়রা হওয়ায় তার দাম এত বেশি উঠেছে, কারণ তাকে রেসিং পায়রা প্রজাতির প্রজননে কাজে লাগানো যাবে। নিলামে বিজয়ী চীনা নাগরিক নিউ কিমকে এই রেসিং পায়রা প্রজননের কাজে লাগাবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। এই খেলার জনপ্রিয়তা বেশিরভাগ দেশে তেমন না থাকলেও চীনে ধনকুবেরদের মধ্যে নানা ধরনের জুয়াখেলার চল বাড়ার সাথে করে এই পায়রা রেসিংও সেখানে জনপ্রিয়তা পাচ্ছে৷