Dainik Sangbad – দৈনিক সংবাদ
Image default
FEATURED ট্রেন্ডিং

পছন্দসই পাত্র খুঁজেছিলেন! সেই পাত্রের সাথে মেয়ে ঘটিয়ে বসলেন কেলেঙ্কারি! রেগে লাল বাবা

স্টার্টআপ ব্যবসা নিয়ে মেতে আছে মেয়ে (Start Up Owner)। এদিকে অনেকদিন আগে বিবাহযোগ্য হলেও বিয়ে নিয়ে কোনো মাথাব্যথা নেই তার। কোনো পরিকল্পনা নেই বিয়ে করার। কিন্তু মেয়েকে নিয়ে চিন্তিত বাবা। তাই নিজেই খোঁজ লাগলেন ছেলের। উদ্দেশ্য মেয়েকে পাত্রস্থ করা। চারিদিকে খুজেঁ পেতে অবশেষে বেশ নামকরা একটি মাট্রিমনি সাইট থেকে জুটিয়ে ফেলেছিলেন মেয়ের জন্য উপযুক্ত পাত্র। কিন্তু পাত্রের বায়োডাটা মেয়ের কাছে পাঠাতেই মেয়ে যা কেলেঙ্কারি ঘটিয়ে বসলেন তাতেই রেগে লাল মেয়ের বাবা। প্রায় তাজ্যই করতে উদ্যত হয়েছিলেন মেয়েকে। কি এমন ঘটিয়েছে মেয়ে? জানুন পুরো বিষয়টা।

মেয়ের নাম উদিতা পাল যিনি বেঙ্গালুরু শহরে একটি স্টার্ট আপ সংস্থা সল্টের (Salt) সহ-প্রতিষ্ঠাতা। সল্ট একটি নিও ব্যাঙ্কিং সলিউশন প্রদানকারী সংস্থা। এই স্টার্ট আপটি ক্রস বর্ডার পেমেন্টের সাথে জড়িত কাজ করে। উদিতার সংস্থার ক্লায়েন্টের তালিকায় নাম রয়েছে বেশ কিছু আন্তর্জাতিক সংস্থারও। বলাই বাহুল্য কেরিয়ারের দিক থেকে দারুন সফল তিনি। কিন্তু হলে হবে কি? মা, বাবা, আত্মীয়-স্বজন প্রত্যেকেই চায় সে পাশপাশি বিয়ে করে সংসারীও হোক। কিন্তু এদিকে মেয়ের কোনো গা নেই এতে। তাই তার বাবা নিজেই পাত্রের সন্ধান করতে নেমেছিলেন। ম্যাট্রিমোনিয়াল সাইটে মেয়ের ছবি দিয়ে প্রোফাইল বানিয়েছিলেন। প্রচুর সম্বন্ধ এলেও নিজে ঝারাই বাছাই করে শেষ অবধি একটি ছেলে কে মনে ধরে তার। ছেলেটির প্রোফাইল, কোথায় কাজ করে, কি পড়াশুনা তার সবটাই মেয়ের সাথে শেয়ার করেন তিনি।

বাবা এত করে বলায় সেই প্রোফাইল দেখতে বসেন উদিতা। কিন্তু এতে উল্টো কাজ করে বসেন তিনি। বিয়ে নয়, তার ছেলেটিকে মনে ধরেছে তার স্টার্ট আপের এক কর্মী হিসাবে। পাত্রের সাথে যোগাযোগ করে তাকে ইন্টারিউয়ের জন্যই ডেকে নেন উদিতা। এই এই কথা জানতে পেরে চটে যান তার বাবা। মেয়েকে জিজ্ঞেস করে কেন করেছে এমনটা?

উত্তরে উদিতা তাঁর বাবাকে জানান, তাঁর সংস্থায় ভাক্যান্সি আছে। অন্যদিকে সেই ছেলেটির সাত বছরের ফিনটেক এক্সপিরিয়েন্স ছিল। তাই সে সুযোগ্য পাত্র কিনা জানা নেই কিন্তু অবশ্যই একজন ভাল কর্মী হতে পারে।

উত্তরে তাঁর বাবা বলেন, এভাবে ম্যাট্রিমনি সাইট থেকে বিয়ের জন্য প্রোফাইল দেখে তাকে ইন্টারভিউতে ডাকা যায়না। ওর বাবাকে এখন আমি কী উত্তর দেব?

তার আর তার বাবার কথোপকথনের স্ক্রিনশট টুইটারে শেয়ার করেছেন উদিতা।

বাবার সঙ্গে নিজের এই বার্তালাপের বিষয়টি ব্যাখ্যা করতে গিয়ে উদিতা লেখেন, ‘বাবা রেগে তাজ্য করার আগে হয়ত এমনই হয়।’ তবে ম্যাট্রিমোনিয়াল সাইটে বিয়ের জন্য পাত্র না পেলেও, তার সংস্থার জন্য কর্মী কী পেলেন উদিতা। সেটিও খোলসা করে জানিয়েছেন নিজেই। জানান, বাবার পছন্দ করা সেই পাত্র তার সংস্থায় জয়েন করার জন্য বার্ষিক ৬২ লক্ষ ময়না এবং অন্যান্য ভাতা দাবি করেছে। তাঁর সংস্থার পক্ষে সেগুলি পূরণ করা সম্ভব নয়। উদিতা জানিয়েছেন ম্যাট্রিমোনিয়াল সাইট থেকে তার বাবা তাঁর প্রোফাইলটাই ডিলিট করে দিয়েছেন। নিজের মতন করে জীবন উপভোগ করছেন আপাতত উদিতা। তবে তার এই পোস্টটি সোশ্যাল মিডিয়ায় (Social Media) ভাইরাল হয়ে গিয়েছে (Viral News)।  

Related posts

করোনা আবহে পুজোর ভীড় বা ট্রেনের বিশেষ আনাগোনা নেই, তবু আলোয় সেজে উঠেছে হাওড়া–শিয়ালদহ

News Desk

নেশা মহিলাদের অন্তর্বাস চুরি, সাতশোরও বেশি নারীর চুরি করে জেলে গেলেন প্রৌঢ়

News Desk

বিলাসবহুল ভিলায় চলছিল গোপন পর্ন ভিডিও রেকর্ডিং, হঠাৎই যা ঘটে গেল সেখানে

News Desk