শেষ পর্যন্ত সত্যি হল সমর্থক আর আপামর ফুটবলপ্রেমী মানুষের আশঙ্কাই। লাল হলুদ বিনিয়োগকারী শ্রী সিমেন্টের চুক্তিপত্রে সই করতে রাজি হল না। ফলে শতবর্ষ পেরোনো ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের ভবিষ্যৎ ভারতীয় ফুটবলের ঘোর অনিশ্চয়তার ঘেরাটোপে। আইএসএল তো বটেই, ডুরান্ড কাপ কিংবা কলকাতা লিগের মতো টুর্নামেন্টেও এখন অনিশ্চিত ইস্টবেঙ্গলের খেলা ।
প্রাক্তন ফুটবলাররা চাইছেন বেরিয়ে আসুক তাঁদের প্রাণের ক্লাব এই সমস্যা থেকে। সমস্যা না মিটলে বাংলার ফুটবলই নয়, নষ্ট হয়ে যাবে দেশের ফুটবলও। ক্ষমতার লড়াই ভুলে যেন মাঠে নামে ইস্টবেঙ্গল। প্রাক্তনীদের এও বলছেন, দুই পক্ষ নিজেদের জায়গা যেন ছাড়ে। দলাদলি বন্ধ হোক। টার্ম শিট প্রকাশ্যে আসুক বলেই দাবি করছেন সমর্থকদের একাংশ। ফলে শতবর্ষ পেরোনো ক্লাবের ভবিষ্যৎ এখন বিশ বাঁও জলে।
বিনিয়োগকারী শ্রী সিমেন্ট আগেই জানিয়েছিল, ক্লাব কর্তারা চুক্তিপত্র সই না করলে ফুটবল দল হবে না তৈরী করা। অথচ ক্লাবের স্পোর্টিং রাইটস রয়েছে বিনিয়োগকারীদের কাছে। এই অবস্থায় বিনিয়োগকারী শ্রী সিমেন্ট স্পোর্টিং রাইটস না ফেরালে ইস্টবেঙ্গলের পক্ষে কোন টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণ সম্ভব নয়।
ইস্টবেঙ্গল এক্সিকিউটিভ কমিটির সিদ্ধান্তের বিষয় ছড়িয়ে পড়তেই হতাশ লাল-হলুদ সদস্য সমর্থকরা। ইস্টবেঙ্গল কর্তাদের বিরুদ্ধে গর্জে উঠলেন সমর্থকেরা, ক্লাবের গেটে পড়ল প্রতিবাদী পোস্টার-ব্যানার। রবিবার সকাল থেকেই গর্জে উঠল লালহলুদের সমর্থকেরা। লাল হলুদ ক্লাব তাঁবুর গেট থেকে সোশ্যাল মিডিয়ার ওয়াল প্রতিবাদের ঝড় উঠল সর্বত্রই। প্রিয় ক্লাবের গেটের সামনে ইস্টবেঙ্গলের কর্তাদের বিরুদ্ধে গো ব্যাকের স্লোগান উঠল। কালো রঙ দিয়ে ক্লাবের প্রধান গেটের সামনে লেখা হল এই স্লোগান। শুধু স্লোগান নয়, ক্লাবের গেটের সামনে লাগান হল প্রতিবাদী পোস্টার-ব্যানার। বিশেষ করে স্লোগান দেওয়া হল ক্লাবের শীর্ষকর্তা নীতু সরকারের বিরুদ্ধে। শুধু ক্লাবের গেটেই নয়, সোশ্যাল মিডিয়ার ওয়ালেও প্রতিবাদ দেখা দিল। ‘গো ব্যাক নীতু’ স্লোগানে গর্জে উঠল লালহলুদ।