Dainik Sangbad – দৈনিক সংবাদ
Image default
FEATURED ট্রেন্ডিং

তিন দিন ব্যাক্তির মৃতদেহ নিয়ে বসে স্ত্রী-মেয়ে, জানতে পেরে বোন এসে মারধর করলো ভাইজিকে

কলকাতার রবিনসন স্ট্রিট-কাণ্ডের মতো সেই হাড়হিম করা ঘটনা ঘটলো এবার জলপাইগুড়ির কোতোয়ালিতে। স্বামী মারা গেলেও তার মৃত দেহ নিজের বাড়িতেই আগলে রেখেছিলেন স্ত্রী। শুধু তাই নয় এই কাজে তাকে সাহায্য করেছে তার মেয়েও। ওই মৃত ব্যক্তির নাম অজিত কর্মকার (৮০)। সেখানকার স্থানীয় এবং প্রতিবেশীদের মতে মা এবং মেয়ে মিলে খুন করেছে অজিত কে। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মা এবং মেয়ে কে গ্রেফতার করেছে।

এই ঘটনাটি ঘটেছে জলপাইগুড়ি শহরের ২১ নম্বর ওয়ার্ডের কলেজপাড়া এলাকায়। অজিতের বাড়ি থেকে বিশ্রী মরা পচা গন্ধ ছড়িয়ে গিয়েছিলো এলাকায় আর সেই থেকেই স্থানীয়দের সন্দেহ হয়। তারা দাবী করেছেন যে অজিত কে বেশ অনেকদিন ধরেই দেখা যাচ্ছিল না, আর সেদিন গন্ধ পেতেই সন্দেহ দৃঢ় হয়। আত্মীয়রা জানিয়েছেন , অজিতকে খুন করে দেহ ঘরে রেখেছিলেন অজিতের স্ত্রী অঞ্জলি কর্মকার ও মেয়ে অনিন্দিতা কর্মকার।

 প্রকাশ্যেই ভাইঝি অনিন্দিতাকে জুতোপেটা করেন মৃতের বোন গীতা কর্মকার, দাদা অজিতকে খুন করার অভিযোগ তুলে। তাঁর দাবী , অজিতের উপর স্ত্রী ও মেয়ে মিলে শারীরিক অত্যাচার চালাতো। তাঁর কথায়, ‘‘ দাদাই সংসারের ভার নিয়েছেন বাবা ছোটবেলায় মারা যাওয়ার পর। এই বাড়িতে অত্যাচারিত হয়ে দাদা প্রায়ই আমার বাড়িতে  গিয়ে কান্নাকাটি করতেন। বৌদি আর ভাইঝি মিলেই দাদাকে মেরে ফেলেছে।’’

মৃতের ভাইপো অমিত কর্মকারের আরও দাবী , ‘‘ আমার জেঠুর উপর দীর্ঘদিন ধরে অত্যাচার চালাতো ওঁরা। পুলিশকেও এই ব্যাপারে জানানো হয়েছিল। জেঠুকে আমাদের সঙ্গে কথা বলতে দেখলেই মারধর করা হত।’’ 

খবর পেয়ে পুলিশ এসে ঘটনাস্থল থেকে অজিতের পচাগলা দেহ উদ্ধার করে নিয়ে গিয়েছে। উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মৃতদেহের ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। পুলিশ মৃতের স্ত্রী ও মেয়েকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে। পুলিশের মত , মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে ময়নাতদন্তের পর। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে স্থানীয় কাউন্সিলর তারকনাথ দাস আসেন।

Related posts

১৭ বার তোপধ্বনিতে শেষকৃত্য সম্পন্ন দেশের প্রথম CDS জেনারেলের! সামিল হল ৮০০ সেনা

News Desk

একটা দাঁত তুলতে ৭০০০ টাকা! বেসরকারি হাসপাতালের বিরুদ্ধে স্বাস্থ্য কমিশনের অভিযোগ রোগীর

News Desk

মধু আরোহণ ছেড়ে মাংসাশী প্রাণীতে পরিণত হচ্ছে মৌমাছি! হতবাক বিজ্ঞানীরাও

News Desk