Dainik Sangbad – দৈনিক সংবাদ
Image default
FEATURED ট্রেন্ডিং

ইঞ্জেকশন দিতেই শরীরে জ্বালা, তারপরেই সব শেষ.. বিস্ফোরক অভিযোগ শোকাচ্ছন্ন পরিবারের

জ্বরের চিকিৎসা করাতে ডাক্তারের ক্লিনিকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল কিশোরীকে। ওষুধ, সেলাইন দেন চিকিৎসক। কিন্তু বাড়ি ফেরার পরও শারীরিক অবস্থার কোনও উন্নতি হয়নি। এরপর ফের চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়া হলে আরও অসুস্থ হয়ে পড়ে কিশোরী। তাঁকে আরজি কর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। পরিবারের অভিযোগ, চিকিৎসক একটা ইঞ্জেকশন দেওয়ার পরই অসুস্থ হয়ে পড়েছিল ওই কিশোরী, আর তার জেরেই মৃত্যু। এই অভিযোগে শুক্রবার রাতে রীতিমতো ভাঙচুর চালানো হয় নিউ টাউনে ওই চিকিৎসকের ক্লিনিকে।

মৃত কিশোরীর নাম স্বর্ণালী মণ্ডল। ১৪ বছরের ওই কিশোরীর জ্বর ও পেটে ব্যাথার উপসর্গ ছিল বলে জানা গিয়েছে পরিবারের তরফে। দুদিনের জ্বরে কী ভাবে মৃত্যু হল, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে পরিবার। জে এন রায় নামে ওই  চিকিৎসকের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে।

স্বর্ণালীর আত্মীয়রা জানিয়েছেন, গত বুধবার থেকে জ্বরে ভুগছিলেন ওই কিশোরী। পরে পেটে ব্যাথা শুরু হওয়ায় শুক্রবার সকালে তাকে চিকিৎসকের ক্লিনিকে নিয়ে যাওয়া হয় তাকে। সেখানে প্রথমে তাকে সেলাইন ও ওষুধ দেওয়া হয়। এরপর বাড়ি নিয়ে আসা হয় তাকে। পরিবারের দাবি বাড়ি আনার পর দেখা যায় কিশোরীর কোনও উন্নতিই হয়নি। অসুস্থতা ক্রমশ বাড়তে থাকে।

এরপর শুক্রবার রাতে ফের তাকে ওই ক্লিনিকে নিয়ে যাওয়া হয়। স্বর্ণালীর পিসি জানিয়েছেন, ওই সময় কিশোরীকে ওষুধ খাওয়ানো হয়, ইঞ্জেকশনও দেন চিকিৎসক। এরপরই শরীরে জ্বালা শুরু হয় বলে জানায় ওই কিশোরী। আত্মীয়দের বাইরে বের করে বাথরুম করার নল ঢোকানোর চেষ্টা করা হয় বলে দাবি। এরপরই অচৈতন্য হয়ে পড়ে কিশোরী।

সঙ্গে সঙ্গে তাকে আরজিকর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। এরপর ক্লিনিকে ভাঙচুর চালায় মৃতার আত্মীয়রা। আরজি করেই তার ময়নাতদন্ত চলছে। ইঞ্জেকশন দেওয়ার পরই মেয়ের মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি পরিবারের।

Related posts

দেশজুড়ে অক্সিজেন সংকট মেটাতে বড় পদক্ষেপ নিলো কেন্দ্র। সস্তির খবর শোনালো।

News Desk

২১-এর তরুণীর সাথে সময় কাটাতে হোটেলে গিয়েছিলেন ৫৩ বছরের ব্যক্তি, এরপরই যা ঘটলো

News Desk

চলন্ত বাসে শারীরিক ঘনিষ্ঠতা দম্পতির, না থামিয়ে ভিডিও বানিয়ে আপলোড করে দিল সহযাত্রীরা

News Desk