ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের (Cyclone Yaas) অপেক্ষায় প্রমাদ গুনছে পশ্চিমবঙ্গবাসী। তার আগে মঙ্গলবার বিকেলে আচমকাই ব্যান্ডেল চার্চ আর হালিশহর এলাকায় দেখা গেল ‘টর্নেডো’।
মঙ্গলবার বিকালে আকাশ কালো করে হঠাৎই ধেয়ে আসতে দেখা গেল এক বিশাল ঝড়। কয়েক মুহূর্তের ঝর কার্যত ধ্বংসলীলা চালালো ব্যান্ডেল চার্চ এবং তার আসে পাশের এলাকায়। ক্ষতিগ্রস্ত হলো বহু দোকানপাট-গাছপালা। একইভাবে কয়েক মুহূর্তের জন্য টর্নেডো নৈহাটি সহ হালিশহরে একাধিক এলাকা তছনছ করল ‘ঘূর্ণিঝড়’। একাধিক বাড়ি, দোকান, গাছপালা ভেঙে পড়ায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে সংলগ্ন এলাকায়। চার্চের আশেপাশের দোকানগুলির চাল ভেঙে গিয়ে পড়েছে খালে। ব্যান্ডেলের বেশ কিছু টিনের বাড়ির চাল হাওয়ায় উড়ে যায়। অনেকগুলি বড় বড় গাছ ও কিছু বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে পড়েছে। কিছু মুহূর্তের এই ‘ঘূর্ণিঝড়’-এ হতচকিত হয়ে পড়েন স্থানীয়রা। কেউ কেউ এই বিপর্যয়ের ছবি আবার ক্যামেরাবন্দিও করে ফেলেন।
ব্যান্ডেল – এর পাশাপাশি নৈহাটির পাশাপাশি হালিশহরেও আঘাত হেনেছে এই টর্নেডো। প্রতক্ষ্যদর্শীরা জানাচ্ছেন আজ বিকাল ৩টে ৪৫ নাগাদ হালিশহর অঞ্চলের ঝিলপাড়া এলাকায় কিছু মুহূর্তের এই ঝড়ে সেই এরিয়া টে সম্পূর্ণ রূপে ক্ষতিগ্রস্ত হয় অন্তত ২০-৪০টি বাড়ি।
এই টর্নেডো কে ঘিরে সন্ধে নাগাদ সংবাদিক বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জানান ‘হালিশহর, চুঁচুড়ায় আজ দুপুরে টর্নেডোই অন্তত ৪০টি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কমপক্ষে ৪ থেকে ৫ জন মারা গিয়েছেন।
পাশাপাশি ঘূর্ণিঝড় ইয়াস নিয়েও সাবধানতা শোনা যায়। কাল সকাল থেকে দুপুরের মধ্যে ইয়াস ল্যান্ডফল করবে বলে জানিয়েও সতর্কবার্তা দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই দিন বৈঠকে মমতা ব্যানার্জী ফের বলেন, ‘ যতক্ষণ এই ঝড় চলবে বাড়ি থেকে বেরোবেন না।