একজন আমেরিকান মহিলা ৫১ বছর বয়সে এসে নিজের কেরিয়ারের দিক থেকে একটি বড় সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। তিনি তার কর্পোরেট চাকরি ছেড়ে প্রাপ্তবয়স্ক শিল্পে কাজ শুরু করেছিলেন। কিন্তু সব থেকে চাঞ্চল্যকর ছিল মায়ের এই সিদ্ধান্ত ঘিরে মেয়ের প্রতিক্রিয়া। প্রথম প্রথম মায়ের সিদ্ধান্ত নিয়ে দোনোমনায় থাকলেও কিছু দিন পরে, মহিলার মেয়ে মায়ের সিদ্ধান্তকে সঠিক বলে মেনে নেয় এবং নিজেও মায়ের মতই প্রাপ্তবয়স্ক শিল্পে ক্যারিয়ার শুরু করে। এই ভাবে দুজনেই প্রচুর টাকা রোজগার করছিলেন, কিন্তু এখন তাদের ঘিরে হচ্ছে নানা সমালোচনা।
ডেইলি স্টারের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওই মহিলার নাম মিসেস রবিনসন। তিনি দাবি করেছেন যে তিনি পর্ন সংস্থাগুলির জন্য শুটিং করেন। এছাড়াও Onlyfan এ প্রাপ্তবয়স্ক কনটেন্ট তৈরী করেন। বিশেষ বিষয় হল এই ফিল্ডের সঙ্গে তার আগে কোনো সম্পর্কই ছিল না। মহিলা একটি কর্পোরেট সংস্থায় চাকরি করে নিজের অর্ধেক জীবন অতিবাহিত করেছেন, কিন্তু তারপরে তার কর্মজীবনে এই অস্বাভাবিক পরিবর্তন ঘটেছিল।
সম্প্রতি তিনি নো জাম্পার নামে একটি পডকাস্টের অংশ হয়েছিলেন। সেখানে তার মেয়েও আসে। এ সময় দুজনেই প্রাপ্তবয়স্ক শিল্পের সাথে সম্পর্কিত তাদের অভিজ্ঞতা শেয়ার করেন। মিসেস রবিনসন বলেছিলেন যে তিনি কেবল একজন সাধারণ মা, যদিও তার মধ্যে একটা দুষ্টু দিক রয়েছে। স্নাতক শেষ করে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি নেন তিনি। এর পরে তিনি মার্কেটিংয়ে ক্যারিয়ার গড়লেও পরে তিনি প্রাপ্তবয়স্ক শিল্পে প্রবেশের সিদ্ধান্ত নেন।
তিনি আরও বলেন যে তিনি প্রাপ্তবয়স্কদের সাইটে ভালোই উপার্জন করছেন। তার বয়স এখন ৫১ বছর। তিনি বিশ্বাস করেন যে তার বয়স তার জন্য সুবিধাজনক দিক। কেননা অল্প বয়সী মেয়েদের ক্ষেত্রে কাজ করা খুব কঠিন কারণ তাদের প্রচুর প্রতিযোগিতা রয়েছে। কিন্তু প্রৌঢ় নারী হওয়ার কারণে অনুরাগীরা তাকে পছন্দ করেন। যদিও প্রাথমিকভাবে তিনি চিন্তিত ছিলেন যে অল্পবয়সীরা তাকে গ্রহণ করবে কিনা।
মায়ের দেখাদেখি মেয়েও এই পেশায় নামলো:
সন্তানদের সিদ্ধান্ত এখন অনেক পরিণত হয়েছে। মেয়ে তার মায়ের সিদ্ধান্তকে সমর্থন করেছিলেন, কিছু দিন পরে তার মেয়ে অ্যাম্বার ব্লেকও অ্যাডাল্ট ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ শুরু করেন। এছাড়াও, ওই তরুণী গায়ক হিসাবেও কাজ করেন। করোনার সময় তিনি কন্যাকে প্রাপ্তবয়স্কদের সাইটে একটি অ্যাকাউন্ট তৈরি করার পরামর্শ দিয়েছিলেন, যা তার মেয়ে শোনেন।
অবশ্য মিসেস রবিনসন জানিয়েছেন, তিনি এবং তার মেয়ে অ্যাডাল্ট ইন্ডাস্ট্রিতে আছেন বটে, কিন্তু তাদের একসঙ্গে শুটিং করার কোনো ইচ্ছা নেই। অনেকে এটি সম্পর্কিত প্রশ্নও করে, কিন্তু তারা এই জাতীয় প্রস্তাব মানতে নারাজ।