Dainik Sangbad – দৈনিক সংবাদ
Image default
FEATURED ট্রেন্ডিং

দুই পাশে ছেলে-মেয়ের মৃতদেহ নিয়ে ফ্ল্যাটের ঘরে বৃদ্ধা! প্রতিবেশীদের নাকে দুর্গন্ধ যেতেই চাঞ্চল্য

রবিনসন স্ট্রিট কাণ্ডের ছায়া একবার ফের শহরে। ছেলে আর মেয়ের প্রাণহীন দেহ আগলে রাখে ফ্ল্যাটে একা একা দিন কাটাচ্ছিলেন মা। ঘটনাটি ঘটেছে নিউটাউনে (Newtown, Kolkata)। জানা গিয়েছে এক পাশে ছেলের মৃতদেহ এবং আরেক পাশে মেয়ের মৃতদেহ নিয়ে মাঝে বসে নিউটাউন সিডি ব্লকের এক বহুতলে ফ্লাটবন্দি অবস্থায় দিন কাটাচ্ছিলেন মা। এরপরে একদিন প্রতিবেশীদের নাকি পচা দুর্গন্ধ গেলে বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। শেষ পর্যন্ত মঙ্গলবার ফ্লাটের ভেতর থেকে উদ্ধার হয়েছে মৃতদেহ দুটি। আর মহিলাকে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ভয়াবহ এই ঘটনা ঘিরে চাঞ্চল্য এলাকায়। কার্যত এই ঘটনার বর্ণনায় শিউরে উঠছে সকলে।

জানা গিয়েছে, নিউটাউনের সিডি ব্লকের ২৫ নম্বর বাড়িতে ২০১৯ সাল থেকে নিজের ছেলে মেয়েকে নিয়ে ভাড়া থাকত সেই পরিবার। পরিবারে ছেলে-মেয়ে এবং মা ওই ফ্ল্যাটে থাকতেন। প্রতিবেশীরা জানাচ্ছেন বেশ কয়েকদিন তাদের কাউকে দেখতে পাচ্ছিলেন না আশেপাশের কেউই। কিন্তু যেহেতু ওই পরিবার খুব একটা মিশুকেও ছিল না এবং কারো সাথে বিশেষ কথাবার্তা বলত না কারো সেভাবে চোখে পড়েনি বিষয়টা। মঙ্গলবার সকালে আশে পাশের ফ্লাটের বাসিন্দাদের নাকে আসে দুর্গন্ধ। পাশাপাশি ওই মহিলা সাহায্য চান প্রতিবেশীদের কাছে। তারপরে প্রতিবেশীরা খবর পাঠায় নিউটাউন থানায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় নিউটাউন থানার পুলিস। ঘরে ঢুকতেই তাদের চোখে পড়ে ভয়াবহ দৃশ্য! তারা দেখে ঘরের মধ্যে খাটের উপর পাশপাশি শোয়ানো ছেলে আর মেয়ের মৃতদেহ। আর ছেলে ও মেয়ের মাঝে দুটি মৃতদেহ আগলে বসে মা!

প্রাথমিকভাবে তদন্তের পর পুলিসের অনুমান, প্রায় ৪ থেকে ৫ দিন আগেই মারা গেছিলেন মহিলার ছেলে ও মেয়ে। তারপর থেকে ছেলে ও মেয়ের নিথর দেহ আগলে ফ্ল্যাটেই থাকছিলেন মা (Newtown mother living with son and daughter’s dead body)। অবশেষে প্রতিবেশীরা দুর্গন্ধ পেয়ে জানায় পুলিসে।

কিন্তু কেন ছেলে ও মেয়ের মৃত্যুর পরেও মহিলা কাউকে বিষয়টা জানালেন না তা নিয়ে এখনো ধন্দে পুলিশ। কিভাবেই বা ছেলে মেয়ের হঠাৎ করে প্রায় একসাথে এইভাবে মৃত্যু হল তা নিয়েও ধন্ধে পুলিশ। শারীরিক অসুস্থতা নাকি এর পেছনে অন্য কোনও রহস্য আছে তা এখনও জানা যায়নি। ইতিমধ্যেই দেহ দুটি উদ্ধার করে পোস্টমর্টেম করতে পাঠিয়েছে পুলিশ। তবে ওই মহিলার ক্ষেত্রে মনে করা হচ্ছে বিষয়টা মানসিক অসুস্থতার। চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে মৃতদের মাকে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

Related posts

সুগার যুক্ত পানীয় বাড়িয়ে দিচ্ছে মলদ্বারের ক্যানসারের আশঙ্কা, কি বলছে সমীক্ষা?

News Desk

কলকাতায় ওমিক্রন আতঙ্ক! ব্রিটেন থেকে শহরে আসা করোনা আক্রান্ত তরুণীকে ঘিরে চাঞ্চল্য

News Desk

উল্টো প্রতিক্রিয়া! চীনের ভ্যাকসিন নিয়েও নতুন করে করোনা সংক্রমণ এই দেশগুলোতে উর্ধ্বমুখী!

News Desk