ভয়াবহ ঘটনার সাক্ষী থাকল বিহারের পাটনার (Patna, Bihar) বাহাদুরপুর থানা এলাকার রামকৃষ্ণ নগর কলোনি। যেখানে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায়, একটি পাঁচতলা বাড়ির ছাদ থেকে এক যুবক দুই কিশোরীকে (Two Girls were thrown away from the roof of five storied building) পরপর নিচে ছুঁড়ে ফেলে দেয়। ওই দুই কিশোরীর মধ্যে একজনের বয়স ছিল ৯ বছর। এবং আরেকজনের বয়স ছিল ১৩ বছর। এত উচু বিল্ডিং এর ছাদ থেকে নীচে পড়ে গিয়ে ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারায় একজন। জানা গিয়েছে অপর এক কিশোরীর অবস্থা আশঙ্কাজনক। পাটনার ডেপুটি সুপারিনটেনডেন্ট অফ পুলিশ (Deputy Superintendent of Police) অমিত শরণ এই ঘটনা প্রসঙ্গে জানিয়েছেন যে অভিযুক্ত যুবক বিবেক কুমারকে ইতিমধ্যেই গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ এবং সে তার অপরাধ স্বীকারও করে নিয়েছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত জেরায় কেন সে এমন কাজ করেছে সে সম্পর্কে মুখ খুলতে চাননি।
ডেপুটি সুপারিনটেনডেন্ট অফ পুলিশ অমিত শরণ জানান, অভিযুক্ত কে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। পুলিশি জেরার অভিযুক্ত নিজেকে দারভাঙ্গা জেলার বাসিন্দা বলে জানিয়েছে। উপ-পুলিশ সুপার জানান, দুই কিশোরী যাদের মধ্যে একজন নিহত হয়েছে ও আরেকজন আহত হয়েছে তারা আদতে স্থানীয় বাজার কমিটিতে কর্মরত এক ব্যক্তির দুই কন্যা। পুলিশ অফিসার আরো জানান যে এই দুটি মেয়ে একে ওপরের বোন।
সেক্ষেত্রে যে বয়সে বড় সেই বোন ঘটনাস্থলেই মারা যায় এবং তার দেহের ময়নাতদন্ত করা হচ্ছে এবং তার ছোট বোন, যে গুরুতর ভাবে আহত হয়েছে, তাকে চিকিৎসার জন্য পাটনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আপাতত তার চিকিৎসা চলছে কিন্তু তাঁর অবস্থা আশঙ্কজনক। এই দুটি মেয়ের বাবা নন্দলাল গুপ্ত পাঁচতলা ওই বাড়িতেই ভাড়াটে হিসাবে বসবাস করতেন এবং তিনি মূলত উত্তর প্রদেশের দেওরিয়া জেলার বাসিন্দা। প্রসঙ্গত পাঁচ তলা এই বিল্ডিংয়ে একটি হোস্টেলও আছে।
মেয়ে দুটির এমন মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়। ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী সেখানকার দুটি অটোরিকশায় আগুন দিয়ে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছলে উত্তেজিত জনতা পুলিশকে লক্ষ্য করে পাথর ছুড়তে থাকে, এতে বাহাদুরপুর থানার সভাপতি সানোভার খানসহ এক ডজনের বেশি পুলিশ কর্মী আহত হয়। পুলিশ তরফে জানা গিয়েছে এই ঘটনার তদন্ত চলছে। কেন এই যুবক এমন কাজ করল সেই প্রশ্ন সকলের মনে।
