OYO হোটেলের আড়ালে সেক্স র্যাকেট (Sex Racket) চক্রের সন্ধান মিলল। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে হরিয়ানার ফরিদাবাদে। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। প্রসঙ্গত গ্যাংস্টার বিকাশ দুবেও গা ঢাকা দিয়ে এই হোটেলে এক সময় ছিলেন।
ফরিদাবাদের একটি OYO হোটেলে সেক্স র্যাকেট ফাঁস হয়েছে। পুলিশ ১৪ জন তরুণী সমেত মোট ৩৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। জানা গেছে সেক্স র্যাকেটের যে অপারেটর সে বিহার থেকে মেয়েদের এনে পতিতাবৃত্তি চালাচ্ছে।
সূত্র অনুযায়ী, ফরিদাবাদ পুলিশ গোপন সূত্রে খবর পেয়েছিল যে বাডখাল চকে অবস্থিত সাসারাম হোটেলে একটি সেক্স র্যাকেট চলছে। এর পরে, ডিসিপি ক্রাইম নরেন্দ্র কাদিয়ানের নির্দেশে, পুলিশের দল OYO হোটেলে অভিযান চালিয়ে সেখানে চলমান সেক্স র্যাকেটটির পর্দা ফাঁস করে এবং মোট ৩৪ জন অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে।
অতীতেও সাসারাম হোটেল ঘিরে বিতর্ক ছিল:
সাসারাম হোটেল ঘিরে অতীতেও অনেক বিতর্ক ছিল। পলাতক থাকার সময় গ্যাংস্টার বিকাশ দুবেও এই হোটেলে ছিলেন। আবারও অবৈধ দেহ ব্যবসা চালানোর অভিযোগ এল। খবর পেয়ে এসিপি সন্দীপ মোর ক্রাইম ব্রাঞ্চ ৩০ এবং মহিলা থানা সেক্টর ১৬-এর একটি দল গঠন করে হোটেলে অভিযান চালিয়ে সেক্স র্যাকেটটি ফাঁস করে।
পুলিশ জানায়, হোটেলের মালিক এর নাম নরেন্দ্র। ওই হোটেলে এজেন্ট মনু ও মহিলা অভিযুক্ত মাফিজা ওরফে সুম্মি বিহার থেকে পতিতাবৃত্তির জন্য মেয়েদের নিয়ে আসত। প্রতিদিন ১০-১৫টি মেয়েকে এখানে পতিতাবৃত্তির জন্য নিয়ে আসত এজেন্ট মনু।
যাদের গ্রেফতার করা হয়েছে
পুলিশ যাদের গ্রেফতার করা হয়েছে তাদের মধ্যে যাদের নাম পাওয়া গেছে সেগুলি হল কর্তার, সুনীল, অতুল, বিপিন, রিকি, সুরেন্দ্র, পঙ্কজ, ধীরজ, শুভম, বিনয়, দেবেন্দ্র, মোহিত, ফারজান, নাদিম, আকিব, রাহুল, রজত, রোহিত, মাফিজা ওরফে সুম্মি, অঞ্জলি রূপা, আশুরা, মুসকান, অঞ্জলিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। কিরণ, নেহা, পূজা, পলক, রবিতা সুশীলা, কুমকুম, কাব্য, এজেন্ট সন্দীপ ওরফে মনু এবং হোটেল মালিক নরেন্দ্র সহ ৩৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এজেন্ট মনু ট্যাক্সি ড্রাইভারের কাজ করত, এসব মেয়েদের সঙ্গে তার যোগাযোগ রয়েছে। মনুই এই মেয়েদের হোটেলে নিয়ে যায় এবং ছেড়ে দেয়। এই ঘটনা ঘিরে