Dainik Sangbad – দৈনিক সংবাদ
Image default
ট্রেন্ডিং

ভারতের নির্বাচনী আইনে সংস্কার! ভুয়ো ভোটার চিহ্নিতকরণে বড়োসড়ো পদক্ষেপ কেন্দ্রের

বড়োসড়ো বদল আসতে চলেছে ভারতের ভোট গ্রহণ আইনে। জানা গেছে নির্বাচন কমিশনের (Election Commission) সুপারিশে ভারতবর্ষের নির্বাচন প্রক্রিয়াকে আরো স্বচ্ছ করতে আগ্রহী কেন্দ্র। পরিবর্তন হতে চলেছে নির্বাচনী আইন। সূত্র অনুযায়ী মোট চার দফা সংস্কার হতে পারে ভারতের ভোট আইনে। আর এই চার দফা সংস্কারের মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো ভোটার কার্ডের সঙ্গে আধার কার্ডের সংযুক্তিকরণ। প্যান কার্ড আধার কার্ড লিঙ্ক তো আগেই হয়ে গেছে। এবারে সংযুক্ত হবার সম্ভাবনা আছে ভোটার কার্ড (Voter Card) আর আধার কার্ডের (Aadhar Card)। এই পদক্ষেপ নেওয়ার উদ্দেশ্য হলো পৃথিবীর অন্যতম বৃহৎ গণতন্ত্র কে আরো শক্তিশালী করা। কেন্দ্রের দাবি, এই সংস্কারের ফলে ভোট গ্রহণ পদ্ধতি আরও সুরক্ষিত এবং ব্যাপক হবে। ভুয়ো ভোটার কে তালিকা থেকে বাদ দেওয়া সহজ হবে। আর এই কারণে দেশে নির্বাচন কমিশনের ক্ষমতা ও গুরুত্ব বাড়বে।

যদিও সুপ্রিম কোর্টে চলা ‘ব্যক্তিগত গোপনীয়তার অধিকার’ সংক্রান্ত মামলার কারণেই এখনই প্রয়োগ করা যাচ্ছে না ভোটার-আধার সংযুক্তিকরণ এর নিয়ম। এখনকার মত এটি মানুষের ইচ্ছার উপর ছাড়া যায়। যেমন ইচ্ছুক মানুষেরা নিজেদের ভোটার কার্ড এবং আধার কার্ড সংযুক্তিকরণ করতে পারে। কেন্দ্র যদিও এই নিয়ম বাধ্যতামূলক করতে পারবে না। ভুয়ো ভোটার কার্ডকে খুজেঁ বাদ দিয়ে সঠিক ভোটার তালিকা তৈরির জন্য আগেই আধার কার্ডের সঙ্গে ভোটার কার্ড লিংক করার পরিকল্পনার কথা সরকারকে জানান হয়েছিল আর তাতেই সাফল্য মিলেছে।পরিকল্পনাটি অনুমোদন দেয় আইন মন্ত্রক (Law Ministry)। বলা হয়, এই সংযুক্তিকরণ হলে ভুয়ো ভোটার চিহ্নিত করার কাজ টা অনেকটাই সহজ হয়ে যাবে যা গণতন্ত্রের জন্য দরকার।

প্রসঙ্গত, এর আগে ২০১৪ সালেই ভারতের ভোটারদের কাছ থেকে তাদের আধার কার্ডের তথ্য সংগ্রহ করছিল নির্বাচন কমিশন। দুই কার্ড লিংক না করলেও সেই সেই প্রক্রিয়া চলার সময় দেশের প্রায় ৪০ কোটি ভোটারের আধারের সব তথ্যই নির্বাচন কমিশনের নিকট চলে যাচ্ছিল। এরপর ২০১৫ সালে সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) নিয়ে আসে গোপনীয়তার অধিকারের রক্ষার আইন যাতে এই প্রক্রিয়া বন্ধ করা হয়।

অবশ্য নির্বাচন কমিশন, আধার-ভোটার কার্ড (Voter Card) সংযুক্তিকরণ ছাড়াও আরও একাধিক সংস্কারের করার কথা ভাবছে। যেমন বছরে চারবার ভোটার তালিকায় নাম নথিভূক্তি। যাতে বছরের শুরুতে কারোর ১৮ বছর পূর্ণ না হয়ে মাঝে হলেও সেও একই বছরে নাম তুলতে পারে, সামনের বছর অবধি অপেক্ষা না করতে হয়। আগে নাম তোলা বছরে একবারই হত।

Related posts

অজানা লকড প্রোফাইল থেকে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট? লক করা প্রোফাইল দেখার উপায় জেনে নিন

News Desk

টানা ৪২ দিন এই গ্রামগুলির মানুষ থাকে সম্পূর্ন নির্বাক! কোনো কথাই বলেন না তারা

News Desk

XE ভেরিয়েন্টের খোঁজ মিললেও এখনও স্বস্তিদায়ক দেশের করোনা গ্রাফ! শুরু হলো প্রাপ্তবয়স্কদের বুস্টার ডোজ

News Desk