গতকালের দৈনিক করোনা আক্রান্তের নিরিখে বেশ কিছুটা কমেছে দেশের দৈনিক সংক্রমণ এর মাত্রা। মনে করা হচ্ছে সারা দেশের বেশিরভাগ জায়গায় জারি একাধিক বিধিনিষেধের কারণেই এই সুফল মিলছে। কিছুটা হলেও লাগাম পড়ানো গেছে করেনার মাত্রাছাড়া সংক্রমণে, এমনই ধারণা বিশেষজ্ঞদের একাংশের। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক থেকে প্রকাশিত মঙ্গলবারের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১ লক্ষ ৬৮ হাজার ৬৩ জন। এর আগের দিন গতকাল অর্থাৎ সোমবারের প্রকাশিত পরিসংখ্যান অনুযায়ী আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১ লক্ষ ৭৯ হাজার ৭২৩ জন।
গতকালের তুলনায় হ্রাস পেলেও এখনও যথেষ্ট উদ্বেগজনক দেশে করোনার পরিস্থিতি। দৈনিক পজিটিভিটি রেট ১০.৬৪ শতাংশ। তাই সংক্রমনের হাত থেকে বাঁচতে আরও বেশ কিছুদিন সতর্ক থাকা ভীষণভাবে প্রয়োজনীয় বলেই মত বিশেষজ্ঞদের।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এই নিয়ে ভারতে মোট করোনা আক্রান্ত হলেন ৩ কোটি ৫৮ লক্ষ ৭৫ হাজার ৭৯০ জন।মঙ্গলবার পর্যন্ত দেশে ওমিক্রন
সংক্রমনের খোঁজ মিলেছে ৪ হাজার ৪৬১ জনের দেহে। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনায় প্রাণ হারিয়েছেন ২৭৭ জন।গতকাল মৃত্যুর সংখ্যা ছিল ১৪৬। ভারতবর্ষে এখন অব্দি করোনার করাল হানায় ৪ লক্ষ ৮৪ হাজার ২১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এই মুহূর্তে দেশে সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা বেড়ে ৮ লক্ষ ২১ হাজার ৪৪৬।
এখনও পর্যন্ত ভারতে করোনা প্রথম ও দ্বিতীয় ঢেউয়ের থেকে কম হলেও, হাসপাতালে ভর্তি করতে হচ্ছে করোনা আক্রান্তদের মধ্যে একাংশকে। কিন্তু এই সম্ভাব্য তৃতীয় ঢেউ তুলনামূলক কম ঘায়েল করলেও স্বাস্থ্যবিশেষজ্ঞরা সতর্কতার সাথে জানিয়েছেন, যে কোনও সময় পরিস্থিতি পাল্টে যেতে পারে! সেইক্ষেত্রে মারাত্মক চাপ আসতে পারে হাসপাতালের ওপর! এরই মধ্যে, শুরু হয়েছে ভ্যাকসিনের বুস্টার ডোজ দেওয়ার কাজ। চিকিৎসক থেকে শুরু করে স্বাস্থ্যকর্মী, পুলিশ ইত্যাদি যেসমস্ত ফ্রন্টলাইন ওয়ার্কার্স এবং কোমর্বিডিটি রয়েছে এরকম সিনিয়র সিটিজেনদের বুস্টার ডোজ দেওয়া শুরু হয়েছে। কলকাতার সব করোনা টিকা কেন্দ্রেই দেওয়া হয়েছে বুস্টার ডোজ। গতকাল সারা ভারতে মোট বুস্টার ডোজ প্রাপকের সংখ্যা ৯ লক্ষ ৬৮ হাজার জন।