বহু জায়গায় ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে উঠেছে ম্যাসাজ পার্লার। আর বেশিরভাগ পার্লারের ক্রেতা টানতে মূল আকর্ষণ ই রাখা হয় মহিলাদের দ্বারা পুরুষের শরীরে দলাই মলাই। শুধু তাই নয় এর উল্টোটা অর্থাৎ পুরুষের দ্বারা মহিলাদের শরীর ম্যাসাজ এর বিজ্ঞাপন ও যথেষ্ট চোখে পড়ে। বেশিরভাগ সময় অভিযোগ আসে এই সমস্ত পার্লার এবং স্পা তে এই ম্যাসাজ ব্যবসার পেছনে চলে দেহ ব্যবসার কারবারও। কালো কাঁচে ঘেরা এই সমস্ত পার্লারে অনৈতিকভাবেই চলে দেহ ব্যবসা। এমন নানা কার্যকলাপের একাধিক অভিযোগ সামনে আসতেই এ বার কড়া পদক্ষেপ নিল অসমের গুয়াহাটি মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন।
অসমের গুয়াহাটি মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন দ্বারা জারি করা এক নির্দেশিকায় স্পষ্ট জানানো হয়েছে অপর লিঙ্গের কেউ একে অপরকে এই জাতীয় ম্যাসাজ দিতে পারবেন না। অর্থ্যাৎ কোনো মহিলা যেমন পুরুষদের ম্যাসাজ করতে পারবেন না। তেমনি পুরুষরা মহিলাদের শরীরে ম্যাসাজ করতে পারবেন না কোনওভাবেই। কর্পোরেশনের বক্তব্য অনুযায়ী ইউনিসেক্স স্যালো, ম্যাসাজ পার্লার, স্পা ইত্যাদি ঘিরে নানা অভিযোগ সামনে আসছিল। আর বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সেই অভিযোগ সত্যি প্রমাণিত হয়েছে। এই কারণেই সমাজের কথা ভেবে এমন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। কর্পোরেশনের তরফে জানানো হয়েছে, জনতার নৈতিকতাকে রক্ষা করতে কর্পোরেশন দায়বদ্ধ।
এই নয়া নির্দেশিকায় স্পষ্ট জানানো হয়েছে, স্পা বা পার্লারের মধ্যে আলাদা করে ম্যাসাজ দেওয়ার কোনও ঘর বা চেম্বার থাকবে না। দরজাগুলোও স্বচ্ছ হতে হবে। থেরাপিস্টরাই ম্যাসাজ করবেন। এবং বিপরীত লিঙ্গের কেউ এই বিষয়ে থাকতে পারবেন না। স্টিম বাথ নেওয়া যেতে পারে। কিন্তু সেই ক্ষেত্রেও বিপরীত লিঙ্গের কেউ কোনো সাহায্য করবেন না। হঠাৎ কেন এমন নির্দেশিকা জারি সেই বিষয়ে কর্পোরেশনের কমিশনার দেবাশিস শর্মা জানান, গত একমাস ধরে বেশ কিছু অ্যাপার্টমেন্ট থেকে অভিযোগ আসছিল যে বেআইনী ম্যাসাজ পার্লার এর আড়ালে না না অবৈধ কার্যকলাপ চলছে বিভিন্ন জায়গায়। একাধিক অভিযোগ যাচাই করে দেখা গেছে অভিযোগ সত্যি। প্রায় ৬০ শতাংশ ক্ষেত্রে বেআইনীভাবে স্পা, পার্লার চলছে। তাই সমাজের নৈতিকতা বজায় রাখতেই এই নির্দেশিকা।